|
|
|
|
রামনগরে কঙ্কাল উদ্ধার, তোলা হল নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
১০০ দিনের প্রকল্পে খাল খোঁড়ার সময়ে বুধবার একটি অখণ্ড কঙ্কাল, একটি মাথার খুলি এবং কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-২ ব্লকে। সেগুলি নন্দীগ্রামের ‘নিখোঁজ’দের বলেই দাবি করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে ‘নিখোঁজ’ ভূমি-কমিটির সদস্য-সমর্থকদের খুন করে প্রমাণ লোপের জন্য দেহ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই চার্জশিটে দাবি করেছে সিআইডি।
এ দিন সকালে সাপুয়ায় ১০০ দিনের প্রকল্পে খাল খনন চলছিল। সে সময়েই ওই কঙ্কাল, খুলি ও কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয় বলে স্থানীয় ও ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর। একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয় একটি রঙিন শাড়ির অংশও। |
|
রামনগরে উদ্ধার হাড়গোড়-খুলি নিজস্ব চিত্র |
প্রকল্পের শ্রমিকরাই বিষয়টি ব্লক অফিসে জানান। বিডিও সুকান্ত সাহা রামনগর থানার পুলিশকে নিয়ে সাপুয়ায় পৌঁছন। বিডিও জানান, যেহেতু হাড়গোড়ের সঙ্গে শাড়ির অংশ উদ্ধার হয়েছে, তাই হাড়গোড়ের একাংশ কোনও মহিলার বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এ দিনই কেউ দেহাবশেষের ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট দাবি জানাননি। বিডিও বলেন, “প্রয়োজনে ওই হাড়গোড়ের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে।” আপাতত রামনগর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে কোনও মহিলার নিখোঁজ থাকার প্রসঙ্গ সিআইডি-র চার্জশিটে নেই। এ দিন সাপুয়ায় মেলা হাড়গোড়ের মধ্যে অন্তত এক মহিলার দেহাবশেষ রয়েছে বলেই অনুমান করছে প্রশাসন। যদিও তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের দাবি, “সাপুয়ার হাড়গোড় নন্দীগ্রামেরই কোনও নিখোঁজের।” শাসকদলের নেতার ওই মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্র। তাঁর কটাক্ষ, “এটা প্রলাপ। ওঁরা যেখানেই হাড়গোড় উদ্ধার হচ্ছে, তাতেই নন্দীগ্রামের ছায়া দেখছেন!” |
|
|
|
|
|