|
|
|
|
সিপিএমকে ‘জবাব’ দিতে আজ সমাবেশে শাসকদল |
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
‘জবাব দেওয়া’ এবং ‘ছাপিয়ে যাওয়া’। সিপিএমের সঙ্গে ‘শক্তি-পরীক্ষা’য় আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের সেই কলেজ মাঠেই সমাবেশ করতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল। বুধবার ওই মাঠেই সমাবেশ করেছে সিপিএম। উপলক্ষ দলের ২১ তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। প্রধান বক্তা হয়ে শাসক-শিবিরকে ‘অকর্মণ্যতা’ আর ‘প্রতিহিংসাসর্বস্বতা’র অভিযোগে বিঁধেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ, সে-সবেরই জবাব দিতে মাঠে নামবেন তৃণমূল নেতারা। সেই সঙ্গে তাঁদের লক্ষ্য, জমায়েতের আকারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সমাবেশকে কয়েক গুণে ছাপিয়ে যাওয়া। বিষয়টা চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। লোক আনতে জেলার ১২০০ বাসই ভাড়া করে নেওয়া হয়েছে। লরিও তাই। ‘পালাবদল’ ঘটিয়েই যে তাঁরা আত্মতুষ্ট নন, আগের শাসকদের এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও যে তাঁরা নারাজ-বোঝাতেই সিপিএমের সমাবেশের দিন ঘোষণার পরেই আগেভাগেই পরের দিনটাতেই একই জায়গায় সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ সেই ‘পরীক্ষা’র দিন। |
|
তৃণমূলের সমাবেশের প্রচার মেদিনীপুর শহরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
প্রকাশ্যে অবশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার-প্রস্তুতিতেই সভা বলে জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। জেলায় বিধানসভা ভোটে সিপিএমকে ধাক্কা দিতে পারলেও তৃণমূল নেতারা ভাল ভাবেই জানেন, ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে এখনও এ জেলায় ক্ষমতা বেশি সিপিএমেরই। তৃণমূলস্তরে সেই ক্ষমতা ‘ছিনিয়ে নিতে’ তাই পঞ্চায়েত ভোটের বছর খানেক আগে থেকেই মাঠে নামছে শাসকদল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সভার মধ্যে দিয়ে কোণঠাসা সিপিএম যদি বা গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠার ক্ষীণতমও চেষ্টাও করে, অঙ্কুরেই পাল্টা তোপ দাগোউদ্দেশ্য এমনই।
সিপিএম নেতৃত্ব প্রকাশ্যে বলছেন, বুধবারের সমাবেশ ‘প্রথাগত’। দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর বক্তব্য, “সম্মেলনের একটি অংশ সমাবেশ। তা আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল। এটা সাংগঠনিক ব্যাপার।” পরের দিনই তৃণমূলের সমাবেশ নিয়েও বিমানবাবু প্রথাগত উত্তরেই সীমাবদ্ধ: “এটাই তো গণতন্ত্র। প্রত্যেকেই নিজের কথা বলতে পারেন, সমাবেশ করতে পারেন।” সঙ্গে মৃদু কটাক্ষ: “কিন্তু বর্তমান সরকার (তৃণমূল) তো গণতন্ত্রের নিয়মটাই মানছে না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “পাল্টা সমাবেশ-টমাবেশ কিছু নয়। অনেক আগেই আমাদের সমাবেশের কর্মসূচি ঠিক হয়েছিল।” যদিও তৃণমূল সূত্রেরই খবর, আগে ঠিক ছিল সমাবেশ হবে শনিবার, ৪ তারিখে। সিপিএমকে জবাব দিতেই তড়িঘড়ি ২ তারিখ করা হয়েছে। বুদ্ধবাবুদের তোপের জবাব কতটা যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে দিতে পারেন তৃণমূল নেতারাসেটা নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, পিঠোপিঠি সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা-বৃদ্ধি, শহরের দৈনন্দিন জীবন অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘিরে কিছুটা অস্বস্তিও রয়েছে জনমানসে। |
|
|
|
|
|