কথায়-কথায় কারখানায় শ্রমিক ধর্মঘট আটকাতে উৎপাদন মুল্যায়ণ কমিটি ও নজরদারি কমিটির দাওয়াই ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই নজরদারি কমিটিতে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সরকারি প্রতিনিধিরাও থাকবে। হুগলির শ্রীরামপুরে ইন্ডিয়া জুটমিলে নবগঠিত নজরদারি কমিটিতে এই প্রথম সরকারি প্রতিনিধিরা থাকছেন বলে বুধবার জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
১১ মাস বন্ধ থাকার পরে ইন্ডিয়া জুটমিল খুলছে আজ, বৃহস্পতিবার। বুধবার মহাকরণে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। পরে শ্রমমন্ত্রী জানান, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মী এত দিন অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছিলেন। এই চটকল খোলার পিথনে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের অনুমোদনেই চুক্তিপত্র তৈরি হয়েছে। পূর্ণেন্দুবাবুর কথায়, “এ বার থেকে কারখানা চালানোর ব্যাপারে উৎপাদন মূল্যায়ণ কমিটি ও নজরদারি কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। ওই কমিটি কারখানার উৎপাদন ও কাজকর্মের দিকে নজর রাখবে। ছোট ছোট সমস্যা বড় আকার নেওয়ার আগেই এর ফলে মেটানো যাবে।”
শ্রম দফতর সূত্রের খবর, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উৎপাদন নিয়েই শ্রমিক-মালিক বিবাদ শুরু হয়। অঙ্কুরেই তার বিনাশ করতে এই ধরনের কমিটি গড়া হয়েছে। সরকারের কথার সমর্থন করেই এ দিন ইন্ডিয়া জুটমিলের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়া বলেন, “ছোট ছোট ঝামেলা থেকেই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। নজরদারি কমিটি থাকলে সেগুলি তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। তাই একে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।” এ ব্যাপারে শ্রমমন্ত্রী এক দিন কারখানায় উপস্থিত থেকে খোলাখুলি সকলের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। |