ক্রিকেট খেলতে আসার ছুতোয় হুগলি জেল চত্বরে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ধৃতদের জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ধৃতদের বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি থেকে পুলিশ ব্যাট, বল ও উইকেট উদ্ধার করেছে। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে দ’জন বিহারের ছেলে ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই অন্যেরা ধরা পড়বে।”
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক মঞ্জুশ্রী মন্ডলের এজলাসে তোলা হয়। |
বিচারক তাদের ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারীরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে ব্যারাকপুরের বাসিন্দা নন্দন রাম ও প্রশান্ত রাম এবং ব্যান্ডেলের বাসিন্দা শিবশঙ্কর পাশোয়ান ও অমিত পাশোয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ‘চ্যালেঞ্জ’ করলে তারা প্রথমে গুলি ও পরে ব্যাপক বোমাবাজি করে। গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনস্টেবল বিশ্বজিৎ দাস এক দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরেন। পরে ধরা পড়ে আরও তিন জন। দুষ্কৃতীরা দু’টি গঙ্গার ঘাটে নৌকার খোঁজ করেছিল। কিন্তু না পেয়ে এক পুলিশ কর্মীর বাইকে চেপে পড়ে কয়েক জন। পুলিশ কর্মীরা অবশ্য পিছু ধাওয়া করে সেই বাইকটি উদ্ধার করেছেন।
গুলিতে জখম বিশ্বজিৎ দাস নামে ওই পুলিশ কর্মীকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই রাতেই। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। |