|
|
|
|
ভোটে মণিপুর |
হিংসায় দায়ী নাগা জঙ্গিরাই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পড়শি রাজ্যের নির্বাচনে সন্ত্রাস ছড়ানোয় সংঘর্ষবিরতিতে থাকা নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন (আই এম)-এর কঠোর সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মণিপুর নির্বাচনের দিন পার্বত্য মণিপুরের ৫টি জেলায় নাগা জঙ্গিদের উৎপাতে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। চান্দেলের নাগা জঙ্গিদের হামলায় এক নাবালিকা, তিন জওয়ান ও তিন জন পোলিং অফিসার মারা যান। হিংসা ও বুথ দখল সংক্রান্ত ঘটনার জেরে, মণিপুরের মোট ৩৪টি বুথে ফের ভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব ক’টি হিংসাত্মক ঘটনায় সরাসরি এনএসসিএন (আই এম) জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রের সঙ্গে ১৯৯৭ সাল থেকে শান্তি আলোচনা চালানো আই-এম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এর আগেও বারবার তোলাবাজি, মাওবাদীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্র কারবারে জড়িত থাকার মতো অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্র বহু বার তাদের সতর্ক করলেও লাভ হয়নি। মণিপুর নির্বাচনে আই এম গোষ্ঠীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ চিদম্বরম বলেন, “মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনা চলাকালীন এনএসসিএন (আই এম) গোষ্ঠী সন্ত্রাস ও অপহরণের মতো অপরাধ করে চলেছে। মণিপুর নির্বাচনে আইএম-এর ভূমিকা নিয়ে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। সন্ত্রাস চালিয়ে গেলে কিন্তু সুফল মিলবে না। আশা করি, আমার বার্তা স্পষ্টভাবে আই-এম নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাবে।”
অন্য দিকে, আই-এম নেতৃত্ব নির্বাচনী সন্ত্রাসে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করে বলেছে, কেন্দ্র ও মণিপুর সরকার তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংঘর্ষবিরতি ও শান্তি আলোচনায় ভারত সরকারের সদিচ্ছার প্রতি তাদের আর আস্থা নেই। আই-এম প্রচার মন্ত্রী এ জেড জামি বলেন, “আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। তবে, তাকে যেন আমাদের দুর্বলতা বলে মনে না করা হয়। এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ আমরা হালকা ভাবে নেব না।” মণিপুর সরকার অভিযোগ করেছিল, নাগাল্যান্ডের শাসকদল এনপিএফ-এর হয়ে মাঠে নেমেছিল আই-এম। এনপিএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, তারা কোনও জঙ্গি বাহিনীর সাহায্য নেয়নি। এমনকী, চান্দেলের বুথে গুলি চলার ঘটনার জন্য প্রহরারত সিআরপি ও অসম রাইফেল্স জওয়ানদের ভুল বোঝাবুঝিকেই দায়ী করেছে তারা। |
|
|
|
|
|