গিনেস বুকে নাম উঠতে চলেছে যোরহাটের। সৌজন্যে অসম পুলিশের কনস্টেবল অভিজিৎ বরুয়া। মুষ্টিযোদ্ধা হিসাবে অভিজিতের পরিচিতি থাকলেও ইদানীংকালে দীর্ঘ পাল্লার দৌড়ই তাঁর খ্যাতির কারণ।
গত বছর ২৮ মে, ২৬ ঘণ্টা ৩১ মিনিটে ২০০ কিলোমিটার দৌড়ের সূত্রে নাম ওঠে লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্-এ। এ বার খালি পায়ে দেড়শো কিলোমিটার দৌড়ে গিনেস বুকে নাম তোলার ব্যবস্থা পাকা করে ফেললেন ২২ বছরের এই তরুণ। পুরো দৌড়পথের ছবি ও ভিডিও চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য লন্ডনে গিনেস সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। |
সোমবার বিকেল ৩টে বেজে ৫৬ মিনিটে তরাজান বাই পাস থেকে যোরহাটের অ্যাপ্রোচ রোডের শেষ অবধি দশ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমে দৌড় শুরু করেন কনস্টেবল অভিজিৎ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই পথটি ১৯ বার দৌড়নোর পরিকল্পনা নিয়ে। তাঁকে সাহায্য করছে, স্থানীয় ‘গ্রেট রান ক্লাব’। এ বারের দৌড় সরেজমিনে দেখতে দিল্লি থেকে উড়ে আসেন ভারতে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক বি কে তিওয়ারি চন্দ্রশেখর। চন্দ্রশেখর জানিয়েছিলেন, খালি পায়ে, ২৪ ঘণ্টা দৌড় বা ১৫০ কিলোমিটার দৌড়লেই রেকর্ড গড়া যাবে।
গত বছর দৌড়ের সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে অভিজিতের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। এ বার অবশ্য আবহাওয়া অনুকূল ছিল। অভিজিৎকে উৎসাহ দিতে গত বারের মতো এ বারেও পাশাপাশি দৌড়তে নামেন এসপি সংযুক্তা পরাশর। সেই সঙ্গে, গোটা পথে সহস্রাধিক জনতা তাঁকে উৎসাহ জুগিয়ে যায়। পুলিশের ব্যান্ড তো ছিলই। অভিজিৎকে সঙ্গ দিতে ১০০ জন কর্মকর্তা, চিকিৎসক, আইনজীবী ও আরও শ’খানের স্বেচ্ছাসেবক পুরো পথ গাড়ি নিয়ে পাড়ি দেন। শেষ অবধি, কাল বিকেল ৩টে ৫৬ মিনিটে ১৫৬.২ কিলোমিটার পার করে অভিজিৎ দৌড় শেষ করেন।
এর আগে অভিজিৎ যোরহাট থেকে কাজিরাঙা অবধি ১০৫ কিলোমিটার পথ এবং যোরহাট থেকে শিবসাগর পৌঁছে ও দেরগাঁও অবধি ফিরে ১৫০ কিলোমিটার পথ দৌড়েছেন। ক্যারাটে ও কিক্ বক্সিং-এ ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়া অভিজিৎ প্রতিদিন,যোরহাট শহর থেকে দেড় ঘণ্টা দৌড়ে দেরগাঁও পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যান।
দীর্ঘ পাল্লার টানা দৌড়ের বিশ্বরেকর্ড আপাতত গ্রিসের দখলে। খালি পায়ে দৌড়ে গিনেসে নাম তোলার পরে অভিজিতের ইচ্ছা গ্রিসের দৌড়বীর ইউনাল ক্রুজুর ৩০০ কিলোমিটারের নজির ভেঙে টানা ৩১০ কিলোমিটার দৌড়ে গিনেস বুকে ফের নাম তুলবেন। |