নন্দরাম মার্কেটের ‘বিতর্কিত’ অংশে ব্যবসা শুরু করার প্রশ্নে ঝেড়ে না কাশার কৌশল নিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নন্দরামের ছ’তলার উপরের তলগুলি বৈধ নয়। বুধবার নন্দরাম মার্কেট ঘুরে দেখেন মেয়র। সেখান থেকে ফিরে শোভনবাবু বলেন, তিনি বারোতলা পর্যন্ত দেখেছেন। কাঠামোগত ভাবে তলগুলি ঠিকই আছে। তবে, ওই তলগুলিতে ব্যবসা করার অনুমতি দেবেন কি না, সেই প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে তিনি বলেন, “সেটা পরে দেখছি।” পাশাপাশি মেয়রের মন্তব্য, “মানবিকতার দিকটাও একটা বড় ব্যাপার। আমরা চাই, ওই মার্কেটের প্রত্যেক ব্যবসায়ী যেন তাড়াতাড়ি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বিষয়টি তাই সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার বলেই মনে করছি।” অনেকের মতে, ভবিষ্যতের জন্য এটাই মেয়রের কুশলী চাল। |
নন্দরাম মার্কেটে ছ’তলা পর্যন্ত জায়গায় যাঁদের ব্যবসা চলছে, তাঁদের বৈধ লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। বুধবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই মার্কেট পরিদর্শন করেন পুর-কমিশনার অর্ণব রায়-সহ বিল্ডিং বিভাগের কর্তারা। পরে মেয়র বলেন, “ওই বহুতলের কাঠামো শক্তপোক্তই আছে। ভেঙে ফেলার মতো কখনওই নয়।” ছ’তলা পর্যন্ত অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা দেখে খুশি মেয়র। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “দমকল ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ওই ছ’টি তলের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া শুরু হবে।”
নন্দরাম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের করা সমীক্ষার রিপোর্ট প্রসঙ্গে শোভনবাবু বলেন, “বহুতলটির কাঠামো যে শক্তপোক্ত আছে, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টেও তা বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন কিছু আমাদের চোখেও পরেনি।” নন্দরাম নিয়ে মেয়র ইতিবাচক হলেও কাশীরাম মার্কেটের দোতলার উপরের অংশ যে খারাপ রয়েছে, এ দিন তা মেনে নেন মেয়র। তাঁর বক্তব্য, “ওটা ভেঙে ফেলতে হবে। ভয়ঙ্কর অবস্থা।” নন্দরাম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সমরকান্তি চৌধুরী বলেন, “উপরের তলগুলি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আজ মেয়র আমাদের আশা এবং আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। ১৫-২০ দিনের মধ্যে খুলে যেতে পারে।” হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এটা বেআইনি জেনেও কেন এই আশা করছেন? সমরবাবুর জবাব, “উপরের তল যেখানে কাঠামোর দিক থেকে নিরাপদ, সেগুলো খুলে দিলে মনে হয় না কেউ আপত্তি করবে। মানবিকতার একটা ব্যাপার আছে তো!” |