নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
তৎকালীন সিউড়ি থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তদন্তকারী অফিসার কানাইদাস বৈরাগ্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তদন্তে নামেন। সেই সময় জেলা পুলিশ সুপার ছিলেন হুমায়ুন কবীর।
ঘটনার এক মাস আট দিন পরে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি প্রথমে ধরা পড়ে সিউড়ির চুড়িপাড়ার বাসিন্দা শেখ খুরশেদ ওরফে নাদু। তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিউড়ির গোপালপুর থেকে মীর্জা মনসুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কালনা রেললাইন পাড়ের বাসিন্দা বাপি পণ্ডিতকে তার মামারবাড়ি মেমারি বাগিলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডা থেকে নাসিরুদ্দিন শেখকে ধরা হয়। বাপির কাছ থেকে ৪ লক্ষের বেশি টাকা ও নাসিরুদ্দিনের কাছ থেকে ৮ লক্ষের বেশি টাকা এবং মোটরবাইক উদ্ধার হয়।
সরকারি আইনজীবী অশোক ধর জানান, এদের বিচার চলাকালীন আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশকর্মীদের মেরে পালানোর চেষ্টা করেছিল বাপি ও নাসিরুদ্দিন। পালানোর চেষ্টা করায় তাদের আলাদা মামলা চলছে। সিউড়ির অতিরিক্ত দ্বিতীয় দায়রা আদালতের বিচারক মণিশঙ্কর দ্বিবেদী মঙ্গলবার চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ব্যাঙ্ককর্মীরা বাপি ও নাসিরুদ্দিনকে চিহ্নিত করায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। শেখ খুরশেদ ও মীর্জার ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাবাস হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “পুলিশ সময় মতো চার্জশিট জমা দিতে পারায় মামলা দ্রুত এগিয়েছে।”
|