এটিএমে ডাকাতিতে চার দুষ্কৃতীর কারাদণ্ড
টিএমে ডাকাতির ঘঠনায় যুক্ত চার জনের মধ্যে দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডয়ছে। বাকি দু’জনের ১০ বছর কারাদণ্ড২ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাবাস হয়েছে। বুধবার সিউড়ির অতিরিক্ত দ্বিতীয় দায়রা আদালতের বিচারক মণিশঙ্কর দ্বিবেদী এই রায় দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর দুপুর ২টো নাগাদ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রহরী-সহ তিন কর্মী সিউড়ির পশ্চিম লালকুঠি পাড়ার মেন রোডে এটিএমে টাকা ভরতে গিয়েছিলেন। ওই তিন কর্মীর মধ্যে এক জন সহকারী ম্যানেজার চন্দনকান্তি দত্ত ছিলেন। টাকা ভর্তি ব্যাগ তাঁর কাছেই ছিল। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কের গাড়ি এটিএমের সামনে দাঁড়ানোর পরে এক ব্যাঙ্ককর্মী এটিএম যন্ত্র খুলছিলেন। সেই সময় এক যুবক বাইরে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। তার পরে গাড়ির ভিতরে চন্দনবাবুর কাছে থাকা টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মিনিট তিনেকের মধ্যে মোটরবাইকে করে বেপাত্তা হয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। যাবার সময়ে ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে সিউড়ি দমকল অফিসের কাছে বন্দুকটি ফেলে যায়।
সিউড়ি আদালত চত্বরে সাজাপ্রাপ্তরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
তৎকালীন সিউড়ি থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তদন্তকারী অফিসার কানাইদাস বৈরাগ্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তদন্তে নামেন। সেই সময় জেলা পুলিশ সুপার ছিলেন হুমায়ুন কবীর।
ঘটনার এক মাস আট দিন পরে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি প্রথমে ধরা পড়ে সিউড়ির চুড়িপাড়ার বাসিন্দা শেখ খুরশেদ ওরফে নাদু। তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিউড়ির গোপালপুর থেকে মীর্জা মনসুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কালনা রেললাইন পাড়ের বাসিন্দা বাপি পণ্ডিতকে তার মামারবাড়ি মেমারি বাগিলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডা থেকে নাসিরুদ্দিন শেখকে ধরা হয়। বাপির কাছ থেকে ৪ লক্ষের বেশি টাকা ও নাসিরুদ্দিনের কাছ থেকে ৮ লক্ষের বেশি টাকা এবং মোটরবাইক উদ্ধার হয়।
সরকারি আইনজীবী অশোক ধর জানান, এদের বিচার চলাকালীন আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশকর্মীদের মেরে পালানোর চেষ্টা করেছিল বাপি ও নাসিরুদ্দিন। পালানোর চেষ্টা করায় তাদের আলাদা মামলা চলছে। সিউড়ির অতিরিক্ত দ্বিতীয় দায়রা আদালতের বিচারক মণিশঙ্কর দ্বিবেদী মঙ্গলবার চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ব্যাঙ্ককর্মীরা বাপি ও নাসিরুদ্দিনকে চিহ্নিত করায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। শেখ খুরশেদ ও মীর্জার ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাবাস হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “পুলিশ সময় মতো চার্জশিট জমা দিতে পারায় মামলা দ্রুত এগিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.