|
|
|
|
পুস্তক তালিকা নিয়ে বেনিয়মের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
স্কুল শুরু হয়ে যাওয়ার পরে মাস পেরোলেও পুস্তক তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বুধবার রানিগঞ্জ মাড়োয়ারি সনাতন উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গেও তারা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
টিএমসিপি-র অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নরেশ কুমার তৃণমূলেরই প্রভাবিত এক প্রকাশককে পাঠ্যপুস্তকের বরাত পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তার জন্য তিনি বিধি লঙ্ঘন করে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যতালিকার ১০ শতাংশেরও বেশি পাল্টে পুস্তক তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। প্রধান শিক্ষক অবশ্য জানিয়েছেন, আজ, বৃহস্পতিবারই পুস্তক তালিকা দেওয়া হবে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম দিকে পুস্তক তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই শিক্ষকদের অনেকে তা নিয়ে আপত্তি তোলেন। স্কুল শিক্ষা পরিষদেরই এক সদস্য বৈদ্যনাথ মিশ্র আসানসোলের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক বংশী ধীবরকে চিঠে লিখে বিষয়টি জানান। ২৫ জানুয়ারি বংশীবাবু প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনাটির কারণ জানতে চাইলে তিনি সাত দিন সময় চান। বুধবার টিএমসিপি (বর্ধমান জেলা শিল্পাঞ্চল) সহ-সভাপতি আলেয়া পারভিনের নেতৃত্বে তাঁদের কিছু সমর্থক স্মারকলিপি দিতে গেলে স্কুল শিক্ষা পরিষদের সম্পাদক আশিস ঘোষের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ বাধে।
আলেয়ার অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ কারও প্ররোচনায় বিধি না মেনে পুস্তক তালিকা ছেপেছিলেন। তৃণমূল পরিচালিত এক প্রকাশক প্রায়ই স্কুলে যাওয়া-আসা করতেন ও অবাঞ্ছিত ভাবে স্কুলের বিষয়ে মাথা গলাতেন। শিক্ষকেরাও নিয়মিত আসতেন না। এর প্রতিকারের দাবিতে তাঁরা প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবিপত্র পেশ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আশিসবাবু তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এমনকী প্রধান শিক্ষককেও কথা বলতে বারণ করেন।
আশিসবাবু বলেন, “নিয়ম মেনে পুস্তক তালিকার ১০ শতাংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েকটি বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক জন শিক্ষকের একাধিক সুপারিশ ছিল। তাই সময় লেগেছে।” সে ক্ষেত্রে আগের তালিকার কী হবে? তাঁর বক্তব্য, “পুস্তক তালিকা দেওয়ার পরেই ছাত্রদের বই কিনতে বারণ করা হয়েছিল। তাই অসুবিধা হবে না।” |
|
|
|
|
|