মাথাভাঙা কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। মঙ্গলবার ওই কলেজের মোট ৪১টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনে নির্বাচন হয়। তারমধ্যে ৩১টি আসনই পেয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ২টি আসন পেয়েছে ডিএসও। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬টি আসনে টিএমসিপি এবং ২টি আসনে ডিএসও জেতে। টিএমসিপি’র মোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭টি। কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দাস বলেন, “৪১টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় এদিন ৩৩টি আসনে ভোট হয়। শান্তিপূর্নভাবেই ভোট প্রক্রিয়া মিটেছে।”টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনে ডিএসও-র সঙ্গে সরাসরি লড়াই হয়েছে ঠিকই। ওঁদের পিছনে ছাত্র পরিষদ, এসএফআইয়ের মদত ছিল।” ডিএসও-র জেলা সভাপতি মৃণাল রায় বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা একক ক্ষমতায় চারটি আসন পেয়েছি।” উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সাল থেকে কলেজের সংসদ এসএফআই-র দখলে ছিল। মাঝে ২০০০ সালে সংসদের দখল নেয় টিএমসিপি। গতবার সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় গত এক বছর কলেজে কোনও ছাত্র সংসদ ছিল না। নির্বাচনে ছাত্র পরিষদ, এসএফআই প্রার্থী দেয়নি। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি গোস্বামী বলেন, “টিএমসিপির বাধায় কলেজে মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি।” আর ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অরিন্দম দে বলেন, “ডানপন্থী ভোট ভাগ এড়াতে কলেজে প্রার্থী দিইনি। ওই সমস্ত অভিযোগের মানে হয় না।” নির্বাচন ঘিরে গোলামালের আশঙ্কা এড়াতে সকাল থেকেই কলেজ চত্বরের চারদিকে ২০০ মিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে মহকুমা প্রশাসন। কলেজে যাতায়াতের রাস্তা জুড়ে র্যাফ, কমব্যাট ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিতাই মোড় থেকে শিকারপুর মোড় সর্বত্র ছিল পুলিশি টহলদারি। কলেজ গেটে ছাত্রছাত্রীর পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার জেরেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানান মাথাভাঙার এসডিপিও সীতারাম সিংহ। |