জাতীয় সড়কে ট্রাক আটকে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ উঠল কোচবিহার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের একাংশ কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানার মহিষবাথান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় ৪ ঘন্টা ৩১-এ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা এবং ট্রাক চালকেরা। অভিযোগকারী ট্রাক চালকের অভিযোগ, “সিজারলিস্ট ছাড়াই গাড়ির কাগজপত্র ওই দফতরের কর্মীরা আটক করে দফতরে দেখা করতে বলেন। এর আগেও একই ভাবে দফতরে ডেকে ওই দফতরের কর্মীরা ৪ হাজার টাকা নেন। এদিনও সেই চেষ্টা করছিলেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।” |
এদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের কোচবিহার-শিলিগুড়ি রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। চরম ভোগান্তি পোহাতেত হয় নিত্যযাত্রীদের। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “চালক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে যে ট্রাকের কাগজপত্র নেওয়া নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত ওই ট্রাকের রোড ট্যাক্স বকেয়া ছিল।” কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “কাগজপত্র নিয়ে ওই চালককে দফতরে দেখা করতে বলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর ও জেলা প্রশাসন অবশ্য ওই অভিযোগ মানতে চায়নি। তাঁদের দাবি, রুটিন মেনেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা ওই এলাকায় গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি করছিলেন। আচমকা ওই ট্রাকটি সিগন্যাল দেওবার পরেও না দাঁড়ানোয় কর্মীরা তাড়া করে ট্রাকটিকে আটকান। কাগজপত্র চাইলে চালক দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই কর্মীরা দফতরে কাগজপত্র নিয়ে আসেন। কোচবিহার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক আফতাব আহমেদ বলেছেন, “চালকের অভিযোগ ভিত্তিহীন। পরিস্থিতির জেরেই কর্মীরা কাগজপত্র নেওয়ার সময় সিজারলিস্ট দিতে পারেননি। চালক পুলিশে অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি। বিশদে খোঁজ নিচ্ছি।” ট্রাকটি উত্তরপ্রদেশ থেকে গুয়াহাটির দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রাকের চালক প্রদীপ যাদবের অভিযোগ, “আগেরবারের মত টাকা নেওয়ার জন্যই কর্মীরা কাগজপত্র আটকে রাখে বলেই মনে হয়েছে।পুলিশকে সব বলেছি।” ঘটনার পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন জাতীয় সড়কের অন্য ট্রাক চালকেরা। এক ট্রাক চালক জাতীয় সড়কে মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। শুরু হয় অবরোধ। ধীরে ধীরে স্থানীয় বাসিন্দারাও তাতে যোগ দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তায় মাঝেমধ্যেই পরিবহণ দফতরের কর্মীরা ট্রাক দাঁড় করিয়ে চালকদের হেনস্থা করেন। চালকদের থেকে অনেক সময়ই একাংশ কর্মীদের টাকা নিতেই দেখা যায়। |