চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে, অভিযোগে মঙ্গলবার বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবিনাশ বেশরা। স্থাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ মাহাতো নামে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র সোমবার সন্ধ্যায় বমি পায়খানা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়। বান্দোয়ানের জিতান গ্রামের বাসিন্দা আকাশ স্থানীয় আর এন সি বিদ্যাপীঠের পড়ত।
গ্রামের বাসিন্দা বিমল মাহাতো বলেন, “সামান্য জ্বর, বমি পায়খানা নিয়ে ওকে সোমবার সন্ধ্যায় ভর্তি করানো হয়েছিল।” তাঁর অভিযোগ, “ওর ঠিকঠাক চিকিৎসা হয়নি।” মৃতের বাবা কমল মাহাতো বলেন, “রবিবার গ্রামে সরস্বতী প্রতিমার বিসর্জন ছিল। শুনেছি অন্য সকলের সঙ্গে আমার দুই ছেলে বিকাশ ও আকাশ প্রসাদ খেয়েছিল। রাতে ওরা বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিল। সোমবার সকাল থেকে বমি ও পায়খানা শুরু হয়। দুপুর নাগাদ বান্দোয়ান বাজার থেকে ওষুধ কিনে এনে খাওয়ানো হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় সন্ধ্যায় দুজনকে বান্দোয়ান ব্লক প্রাথিমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করি। মঙ্গলবার ভোরে দেখি আকাশ ছটপট করছে।”
তাঁর অভিযোগ, “ডাক্তার, নার্স কাউকে ডেকে পাইনি। ওই সময় কেউ এসে দেখে ওষুধ দিলে হয়তো আমার ছেলেটা মারা যেতো না।” বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবিনাশ বেশরা বলেন, “গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। এই ধরনের উপসর্গে খাদ্যে বিষক্রিয়ার চিকিৎসা হয়। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। চিকিৎসা যথাযথ চলছিল। মধ্যরাতেও নার্স একবার সব রোগীকে দেখে এসেছেন। ডেকেও ডাক্তার বা নার্সকে পাওয়া যায়নি এ অভিযোগ ঠিক নয়। একই চিকিৎসায় আকাশের দাদা বিকাশ সুস্থ হয়ে গিয়েছে। পরিবারের দাবি মেনে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা কাকলি আচার্য বলেন, “শুনেছি আমাদের স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া মারা গিয়েছে। আজ বুধবার তার স্মরণ অনুষ্ঠান হবে।”
|