সদ্যোজাতদের চিকিৎসার জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ বা এসএনসিইউ। বেশ কয়েক বছর আগে এই হাসপাতালেই ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছিল নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট। কিন্তু উদ্বোধনের পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এ বার সেই বন্ধ ইউনিটেই জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের আর্থিক সহায়তায় ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ শুরু হতে চলেছে। সদ্যোজাতদের চিকিৎসার জন্য যে ত্রিস্তরীয় পরিষেবার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার, তার সর্বোচ্চ ধাপ এসএনসিইউ। অতি-সঙ্কটাপন্ন সদ্যোজাতদের অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে এই ইউনিটে। ফেব্রুয়ারি মাসেই হাসপাতালে এই বিভাগ চালু করা যাবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি চলতি মাসেই ওই ইউনিটটি চালু করে দেওয়ার। চিকিৎসকও চলে এসেছেন। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। দ্রুত তা শেষ করার চেষ্টা চলছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলার মধ্যে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেই প্রসূতি ভর্তির হার সবচেয়ে বেশি। তার উপরে অধিকাংশ সদ্যোজাতেরই ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম। সমস্যা হলে সদ্যোজাতদের নিয়ে ছুটতে হত জেলা হাসপাতালে বা কলকাতায়। মহকুমা হাসপাতালেই এসএনসিইউ খুললে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশা স্বাস্থ্য দফতরের। এখন কাজও চলছে জোরকদমে। বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনার পাশাপাশি ইউনিটের জন্য দু’জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিভাগের নার্স ও স্থাস্থ্যকর্মীরা কাজে যোগ দেবেন। বিদ্যুতের কাজ শেষ হলেই বাকি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে প্রাথমিক ভাবে ৮ শয্যার বিভাগটি চালু হয়ে যাবে। পরে শয্যার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই বিভাগ খোলার জন্য প্রায় সত্তর লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছিল। অধিকাংশ টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দু পাত্র বলেন, “জানুয়ারি মাসেই চালু করার কথা ছিল এই ইউনিটটি। কিন্তু কাজ কিছুটা বাকি রয়ে যাওয়ায় ও চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। ফেব্রুয়়ারি মাসেই চালু হয়ে যাবে এসএনসিইউ।
|