ছ’টি তালা ভেঙে মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহের অলঙ্কার ও প্রণামী বাক্স নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাত আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে প্রধাননগর থানার মাল্লাগুড়িতে একটি হনুমান মন্দিরে। ঘটনার সময় দুই রিকশাচালক দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁদের অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মাল্লাগুড়িতে হিলকার্ট রোডের অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানায়, রূপোর অনেক অলঙ্কার চুরি হয়েছে। শিলিগুড়ির ডিএসপি প্রদীপ পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে ঢোকার জন্য তিনটি গ্রিলের দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজায় তিনটি করে তালা ঝোলানো থাকে। মন্দিরের ভেতরে ঢোকার পর আরেকটি দরজা খুলে বিগ্রহের কাছে যেতে হয়। পাকা রাস্তার দিকে থাকা গ্রিলের তালা খুলে মন্দিরে যাতায়াত করেন পুজারী ও ভক্তরা। দুষ্কৃতীরা পেছনের দরজার তিনটি তালা ভেঙ্গে মন্দিরের ভেতরে ঢোকে। তারপর বিগ্রহের দরজার তিনটি তালা ভেঙ্গে অলঙ্কার চুরি করে। প্রণামীর বাক্স নিয়ে পালিয়ে যায়। মন্দিরের পুজারী লহ্মণ দিক্ষিত জানান, মন্দিরের সামনে একটি জায়গায় ২ রিকশা চালক ছিলেন। তারা বিষয়টি দেখে চিৎকার শুরু করেন। দুষ্কৃতীরা ধারাল অস্ত্র বের করে তাদের ভয় দেখান। চুরি করে দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর ওই ২ জন বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। তাঁরা মন্দিরের পুজারিকে খবর দেন। পুজারি বলেন, “এর আগেও দুটি চুরির ঘটনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মন্দিরে ঢুকতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। রাতেই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন। দুষ্কৃতীদের যাতে দ্রুত ধরা হয় সে দাবি জানানো হয়েছে।” |