রাস্তা বেহাল, সে জন্য এক বছর ধরে বাস ও অটো চলাচল বন্ধ রয়েছে রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি অঞ্চলের মগরাডাঙি এলাকায়। এই ঘটনায় ওই এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন। বাড়তি ভাড়া দিতে রাজি হলেও সহজে কোনও রিকশা অথবা ভ্যানেও যেতে চায় না বলে অভিযোগ। বাড়তি ভাড়া দিয়েও ওই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রচন্ত নাকাল ও ভোগান্তি সহ্য করে মানুষকে গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে মগরাডাঙি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা বাসিন্দাদের। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে আসা হাসপাতালের কর্মীদেরও। অথচ রাস্তাটি সংস্কার করে বাস ও অটো চলাচল ব্যবস্থা করার ব্যাপারে কেউ উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বাসিন্দারা জানান, রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি মোড় থেকে মগরাডাঙি ও আশিঘর হয়ে তিনটি বাস ও ১০ টি অটো চলাচল করত। ওই বাস ও অটোগুলি মগরাডাঙি হয়ে চলাচল করত। রাস্তাটি ভেঙেচুরে গিয়ে বেহাল হয়ে পড়ায় এক বছর ধরে কোনও বাস ও অটো চলাচলই করে না। প্রশাসনে বহুবার দাবি জানিয়েও রাস্তাটি সংস্কার করে বাস ও অটো চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রাস্তা বেহালের কারণে এতদিন ধরে যে এলাকায় বাস বা অটো চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এমন কোনও খবরেই জানা নেই প্রশাসন কর্তাদের। রাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত বিডিও খুরশেদ আলম বলেন, “রাস্তাটি যে খারাপ সেটা জানি। কিন্তু এতদিন ধরে যে বাস ও অটো বন্ধ রয়েছে, জানা নেই।” তিনি জানান, রাস্তাটি জেলা পরিষদের অধীনে রয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে আমরা জেলা পরিষদে লিখে পাঠিয়েছি। বাস ও অটো চলাচল বন্ধের বিষয়টি জেলা প্রশাসনে জানানো হবে।” রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অরুণ রায় বলেন, “রাস্তার বেহালের জন্য বাস ও অটো চলে না। ফলে বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে পরিকল্পনা ধরা রয়েছে। সংস্কার হলেই সমস্যা থাকবে না। কিন্তু কত দিনে তা সংস্কার করে বাস ও অটো চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে? এর জবাবে অরুণবাবুর দাবি, “যত তাড়াতাড়ি সংস্কারের চেষ্টা চলছে।” পানিকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির অসিতকুমার সরকার বলেন, “রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযুক্ত করে তোলার ব্যাপারে আমরা পঞ্চায়েত থেকে বহুবার দাবি জানিয়েছি। স্থানীয় স্তরে বহু আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল নেই।” মগরাডাঙি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপক মণ্ডল বলেন, “বারে বারে আশ্বাস দেওয়ার পরেও কোনও কাজ হচ্ছে না। পঞ্চায়েত থেকে এবছর বর্ষার আগে খানখন্দে বেড মিশালি ফেলে কোনও মতে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছিল। কিন্তু তা অল্প দিনের মধ্যে উঠে গিয়ে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। বাস ও অটো চলাচল বন্ধ থাকায় বেশি ভাড়া দিয়ে ধকল সহ্য করে মানুষকে গন্থব্যস্থলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। বিষয়টি নিয়ে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।” হাসপাতাল কর্মী বলেন্দ্রনাথ রায়, শান্ত পাল বলেন, “জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে বহু কর্মী আসেন। গ্রামাঞ্চল থেকে বহু রোগী আসেন। সকলের দুর্ভোগ বেড়েছে।” |