পুরসভায় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পুরসভারই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ায়। লালচাঁদ দাস নামে ওই অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরসভা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ওই অস্থায়ী কর্মী আচমকা লোহার রড ও খুর নিয়ে পুরসভায় গিয়ে ভাঙচুর করেন। অন্য কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও অস্ত্র হাতে থাকায় তাঁকে বাধা দিতে কেউ সাহস পাননি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে করে ভাঙচুর করে পালিয়ে যান লালচাঁদবাবু। পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সমস্ত বিভাগে ভাঙচুর হয়েছে। বড় মাপের ক্ষতি হয়েছে।” ওই কর্মী কেন ভাঙচুর করলেন তা জানাতে পারেননি পুরপ্রধান। তিনি বলেন, “ঘটনার সময়ে পুরসভায় ছিলাম না। শুনেছি ওই কর্মী স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই কর্মী মদ্যপ অবস্থায় এই কাজ করেছেন। তিনি পলাতক। খোঁজ চলছে।
|
এক মাস ধরে নিখোঁজ থাকা এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাকে ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম সুসার মুর্মু। সিমলাপাল থানার উপরশোল গ্রামে তার বাড়ি। সোমবার সন্ধ্যায় সিমলাপাল থানার বরগোড়া গ্রামের একটি বাড়িতে পুলিশ তাদের সন্ধান পায়। মঙ্গলবার দু’জনকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ জেলহাজত হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়, বছর সতেরোর ওই স্কুল ছাত্রী। ছাত্রীর বাবা ২৯ ডিসেম্বর সিমলাপাল থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তিনি ওই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে তাঁর মেয়েকে ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। যদিও ধৃতের বাবা পূর্ণ মুর্মুর দাবি, “ওই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের সর্ম্পক রয়েছে। আমার ছেলের বিরুদ্ধে তাকে ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। মেয়েটি স্বেচ্ছায় আমার ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল।” |