এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর শ্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারধর করলেন পড়শিরা। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। ওন্দা থানার মালাতোড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্নেহলতা গোস্বামী (২০)। মৃতার বাবা গোপাল মুখোপাধ্যায় এ দিন দুপুরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের প্ররোচনায় তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বধূটির স্বামী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বছর চারেক আগে তালড্যাংরা থানার মহদা গ্রামের স্নেহলতার সঙ্গে বিয়ে হয় মালাতোড় গ্রামের শিবশঙ্কর গোস্বামীর। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা কারণে ওই বধূটির উপরে মানসিক নির্যাতন চালাত। তাঁরা মাঝে মধ্যেই ওই বাড়িতে গিয়ে ঝগড়া থামাতেন। এ দিনও সকালে গোস্বামী বাড়িতে ঝগড়া হচ্ছিল। বধূটিকে মারধর করা হচ্ছিল বলে বাসিন্দারা শুনতে পান। এর কিছু ক্ষণ পরেই বাড়িতে আগুন লেগেছে বলে বাড়ির লোকেরা চিৎকার শুরু করেন। বাসিন্দারা বাড়ির ভিতরে গিয়ে দরজা ভেঙে একটি ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন বধূটি গায়ে আগুন জ্বলছে। তত ক্ষণে বধূটির মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই উত্তেজিত বাসিন্দারা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারধর শুরু করেন। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর, জা-কে মারধর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
বধূটির বাবা বলেন, “বিয়ের পর থেকেই তার উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার চালাত। আমাদের বাড়িতে ওকে আসতে দিত না। মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই দায়ি।” পুলিশ জানিয়েছে, বধূটির স্বামী শিবশঙ্কর গোস্বামী, শ্বশুর শক্তিপদ গোস্বামী, শাশুড়ি কল্পনা গোস্বামী, দেওর সৌমেন গোস্বামী ও জা লীলা গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |