শালতোড়ায় সদ্যোজাতের মুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত তান্ত্রিকের মন্দিরে কালী মূর্তির পায়ের কাছে পাওয়া গেল কয়েকটি হাড়ের টুকরো। তবে মঙ্গলবার মন্দির চত্বরের মাটি খুঁড়ে সন্ধান চালিয়ে শিশুটির দেহাবশেষ বা তাকে খুন করার কাজে ব্যবহার করা অস্ত্রের সন্ধান পুলিশ পায়নি। তান্ত্রিকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ধৃত তান্ত্রিক লক্ষ্মীকান্ত কর্মকারকে এ দিন বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে তার চার দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। কেস ডায়েরি জমা করতে না পারায় সোমবার তার এক দিনের জেলহাজত হয়েছিল। ঘটনার তদন্তভার সোমবার রাতে গঙ্গাজলঘাটির সার্কেল ইন্সপেক্টর ভবেন্দ্রনাথ মল্লিককে দেওয়া হয়। দু’জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক তাঁকে তদন্তের কাজে সাহায্য করবেন। শালতোড়া থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরের তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “শিশুর রক্তের নমুনা, উদ্ধার করা হাড়, শিব ঠাকুরের হাতে লাগা লাল অংশের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে।” তিনি জানান, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্ত আধিকারিক বদল করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ময়নাতদন্তের রির্পোটে জানা গিয়েছে, মাথায় কোনও ভারি জিনিসের আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। তারপরে তার গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়। গলায় চারটি কোপের দাগ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পুলিশ তান্ত্রিকের মন্দিরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। তখন কালীমূর্তির পায়ের কাছে একটি মাটির সরাইয়ের ভিতরে কয়েকটি হাড় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হাড়গুলি কোনও পশু না কি মানুষের তা পরীক্ষা করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তান্ত্রিকের বাড়িত তল্লাশি চালায়। বাড়িতে অবশ্য কেউ ছিল না। তান্ত্রিকের মা তন্ত্র সাধনা করে বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশ তার সন্ধান এ দিনও পায়নি। মন্দির ও লাগোয়া শ্মশানের মাটি খুঁড়ে পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালায়। |