|
|
|
|
পুলিশ ফাঁড়ি চালুর দাবি আড়গোয়ালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
এলাকায় সংগঠিত অপরাধ ও রাজনৈতিক হিংসা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে পটাশপুর থানা এলাকার আড়গোয়াল এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি বা আইসি পরিচালিত তদন্তকেন্দ্র চালু করার দাবি উঠল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-২ ব্লকের আড়গোয়াল, মথুরা ও সাউৎখণ্ড পঞ্চায়েত এগরা, মারিশদা ও ভূপতিনগর থানার সীমানায় অবস্থিত। অত্যধিক দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা থাকায় প্রত্যন্ত ওই এলাকায় অপরামূলক কাজকর্মের খবর পেলেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সন্নিহিত এগরার দেশবন্ধু, বাথুয়াড়ি, মারিশদার ভাজাচাউলি এবং ভূপতিনগরের অর্জুননগর ও ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ ক্রমশ বাড়ছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগও এই সব অঞ্চলে সর্বাধিক। বেহাল রাস্থার কারণে পটাশপুর থানা থেকে এই এলাকাগুলিতে পৌঁছতে সময় লাগে বেশি। ফলে অপরাধীদের ধরা তো দূরের কথা গণ্ডগোল নিয়ন্ত্রণও অনেক সময়ে অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের স্থানীয় প্রতিনিধিরাই একযোগে আড়গোয়ালে পুলিশ ফাঁড়ি চালুর দাবি তুলছেন। সিপিএমের প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ দাসমহাপাত্র বলেন, ‘‘আমরা দল ও সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আড়গোয়াল অথবা প্রতাপদিঘির দমদমিয়া মৌজায় নবনির্মিত ব্লক প্রশাসনিক ভবন-চত্বরে ফাঁড়ি চালু করার। শেষ পর্যন্ত ভূপতিনগর থানা অর্জুননগরে পুলিশ ক্যাম্প চালু করলেও পটাশপুরে হয়নি।” পটাশপুরের তৃণমূল নেতা মৃণালকান্তি দাসও বলেন, “প্রায় আড়াই দশক ধরে এলাকাটি বাম-সন্ত্রাস কবলিত ছিল। সেই সময়ে ফাঁড়ির দাবি জানানো হলেও শোনা হয়নি। নতুন সরকারের কাছে আমরা ফের সেই প্রস্তাব দিয়েছি।” পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর বলেন, “প্রস্তাবটি আমি মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে পাঠিয়েছি। তাঁরা প্রস্তাব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” জেলা পুলিশ সুপার অশোককুমার প্রসাদ বলেন, “স্থানীয়ভাবে প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|