তিন মিনিটে তিন পয়েন্ট বাগানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোহনবাগান-৩ (ওডাফা-জোড়া পেনাল্টি, ব্যারেটো)
চিরাগ কেরল-১
(অনিল) |
শেষ মিনিটের গোলে যে দিন হতাশা লাল-হলুদে, সে দিনই কোচিতে সুব্রত ভট্টাচার্যর মুখে হাসি আনল অন্তিম সাত মিনিট।
৮২ মিনিট পর্যন্ত ১-১ ম্যাচের রং পাল্টাল শেষ সাত মিনিটে। ম্যাচে দু’বারই মোহনবাগান এগোল হ্যান্ডবলের সৌজন্যে। দু’বারই প্রাক্তন মোহনবাগান গোলকিপার অরিন্দম ঘোষকে পরাস্ত করেন ম্যাচের সেরা ওডাফা। আর চিরাগ কেরল ম্যাচ শেষ করল ন’জনে খেলে। চিরাগের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে যুবভারতীতে শেষ মিনিটের ফ্রি-কিকে জয়ের গোল ছিল ব্যারেটোর। এ বারও স্কোরশিটে সর্বশেষ নাম তাঁর। দুই বিদেশির গোল এল ৮৪ ও ৮৬ মিনিটে।
আই লিগ টেবিলের তিন নম্বর জায়গাটাও ফিরে পেল মোহনবাগান (৩৩)। ইস্টবেঙ্গল (৩৪) দুইয়ে। আর প্রয়াগ ইউনাইটেড (৩২) উঠে এল চারে। সুব্রত অবশ্য বলছেন, “আরও গোটা পাঁচেক ম্যাচ হলে বোঝা যাবে কারা চ্যাম্পিয়ন হবে। আমি তো কোনও ম্যাচেই পুরো টিম পাচ্ছি না। চার-পাঁচ জন নেই। এ ভাবেই চলতে হবে।” চোট-কার্ড সমস্যায় কোচির টিকিট পাননি আনোয়ার-কিংশুক- নবি। ভাঙা ডিফেন্সের ছবিটা এক সময় তুলে ধরছিলেন চিরাগ ফুটবলাররা। অনিল-সানডেরা বারবার উঠে এসেছেন। কিন্তু গোলের পরিস্থিতি খুব বেশি তৈরি হয়নি।
অন্য দিকে, মোহনবাগানের প্রথম এগারো সুব্রত তৈরি করেছিলেন রক্ষণ-আক্রমণকে প্রায় সমান সম্মান দিয়ে। ড্যানিয়েলের মতো ডিফেন্সিভ ফুটবলার ছিলেন মাঝমাঠে। তেমনই হোসে ব্যারেটো ছিলেন তাঁরই পাশে। গোলমুখী অ্যাটাক তৈরির দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যারেটো মাথা-ফাটার পরও বেঞ্চে না-ফিরে থাকলেন মাঠেই। ব্যান্ডেজ বেঁধে। ম্যাচের তখনও বাকি প্রায় আধ ঘণ্টা। আর দল আটকে ১-১-এ।
৩৭ মিনিটের মাথায় ধনরাজনের ক্রস হাতে লাগান চিরাগ ডিফেন্ডার জগদীপ। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি ওডাফা। বিরতির আগে স্কোর ১-০। আর বিরতির ঠিক পরই ১-১ করে ফেলেছিল পাকির আলির দল। আসিফের ফ্রি-কিক যখন অনিলের কাছে পৌঁছয় তখন তিনি সব মার্কিংয়ের আওতার বাইরে।
বিরতির ঠিক আগেই অবশ্য রক্ষণাত্মক ছক ভাঙেন সুব্রত। ড্যানিয়েলের বদলে মাঠে আনেন হাদসন লিমাকে। তারপরও মোহনবাগানের আক্রমণগুলো জমা পড়ছিল চিরাগ ডিফেন্ডারদের কাছে। আর বাড়ছিল টেনশনের মাত্রা। তিন পয়েন্ট যে বড় দরকার! লিগ টেবিলে আগুয়ান হতে আর শনিবারের বড় ম্যাচে নামার আগে আরও চাঙ্গা হতে।
সুব্রত হাঁফ ছাড়লেন ছ’মিনিট বাকি থাকতে। বক্সে হ্যান্ডবল করে লালকার্ড দেখলেন জিমশাদ। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। আর দু’নম্বর পেনাল্টি থেকে ২-১ করলেন ওডাফা। দু’মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখেন চিরাগের ফয়সলও। তখনও পুরস্কার পাওয়া বাকি ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলা ব্যারেটোর। ৮৬ মিনিটের গোলে সেটাও পেলেন।
|
মোহনবাগান: সংগ্রাম, সুরকুমার, শুভাশিস, রাকেশ, ধনরাজন, জুয়েল (প্রদীপ), ব্যারেটো, ড্যানিয়েল (লিমা), অসীম (মণীশ ভার্গব), ওডাফা। |