টেস্ট সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে ভারতীয় দল এবং সমর্থকরা। দুটো দলেই প্রচুর তরুণ ক্রিকেটার আছে। তাই মাঠে অনেক বেশি চনমনে ভাব দেখা যাবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে নিঃসন্দেহে বেশি কর্তৃত্ব দেখিয়েছে ভারত। ধোনিরা এই ফর্ম্যাটে এক বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়া এক বার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি তুলতে পারেনি। বুধবার ম্যাচটা এসসিজি-র বদলে নতুন মাঠে হবে। অলিম্পিক স্টেডিয়াম। দুর্ধর্ষ দুই ক্রিকেটীয় দেশের ম্যাচে যে অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হয়, সেটা এই মাঠে কেমন হবে দেখতে খুব আগ্রহ হচ্ছে।
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি নয়, তফাত গড়ে দেবে ক্রিকেটারদের মনোভাব। এই ফর্ম্যাটে ভয়ডরহীন হওয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন পরিকল্পনা কাজে লাগানো দরকার। ভারতীয় দলে বেশ কয়েক জন তরুণ এসেছে যারা ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে থাকবে। বিশেষ করে এই মুহূর্তে, কারণ এখন ভারতীয় ক্রিকেট বিশাল একটা পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তরুণদের তাই যেটুকু সুযোগ দেওয়া হবে সেটাই কাজে লাগাতে হবে। টেস্ট সিরিজের দলের তুলনায় টি-টোয়েন্টি দলে উচ্ছ্বাস আর তেজ নিশ্চয়ই বেশি থাকবে। মাঠে তরুণদের লাফ-ঝাঁপ দেখতে বেশ ভাল লাগবে। কিন্তু এই উচ্ছ্বাস দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় কি না, সেটা সময়ই বলবে। রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না, বিরাট কোহলি, মনোজ তিওয়ারিদের পাশাপাশি সহবাগ, গম্ভীর, ধোনির মতো সিনিয়রদের নিয়ে এই দলটা প্রচণ্ড শক্তিশালী। ইরফান পাঠানকে অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট-বল হাতে ইরফান ভাল ‘প্যাকেজ’ হয়ে উঠতে পারে। অস্ট্রেলিয়ারও টেস্ট দলের তুলনায় টি-টোয়েন্টি দলে অনেক নতুন মুখ এসেছে। মাইকেল ক্লার্ক এই দুটো ম্যাচ খেলবে না বলে ওদের অধিনায়ক হয়েছে জর্জ বেলি। অস্ট্রেলিয়ায় ওর ক্রিকেটমস্তিষ্ককে সম্মান করা হয়। দেখা যাক রঙিন জার্সিতেও অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃত্ব বেলি-রা ধরে রাখতে পারে কি না। ওদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশের ফর্ম দেখে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকরা এই দল বেছেছেন। যার জন্য চল্লিশোর্ধ্ব ব্র্যাড হগ জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে এসেছে। তরুণদের তুলনায় ও কেমন খেলে তার উপর অনেকের নজর থাকবে।
ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ হারের পর বাকি সফরেও ধস আটকাতে পারেনি ভারত। আশা করি এ বার অস্ট্রেলিয়ায় তরুণরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতকে জিততে দেখলে টেস্ট সিরিজ হারের দুঃখ অনেকটা কমে যাবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় ভারতের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তা হলে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওয়ান ডে-গুলোয় নামতে পারবে ধোনিরা। |