নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার অভিযোগে নতুন মামলা দায়ের হল সিপিএম নেতা অভয় ঘোষের বিরুদ্ধে।
|
অভয় ঘোষ। |
মঙ্গলবার তাঁকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক আরও ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ধৃত নেতাকে। মঙ্গলবার দুপুরে সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক অভয় ঘোষকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ডুরি বেঙ্কট শ্রীনিবাসের এজলাসে তোলা হলে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা শুনানি চলে।
গত ২৪ জানুয়ারি আদালতে তুলতে গিয়ে নিগৃহীত হতে হয় গোঘাটের এক সময়ের দাপুটে নেতা অভয়বাবুকে। সে কথা মাথায় রেখে এ দিন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল জেলা পুলিশ। বেলা ২টো নাগাদ ধৃত নেতাকে আদালতে আনা হয়। এ দিনও গোঘাটের বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী এবং সাধারণ গ্রামবাসী আদালতে বাইরে বিক্ষোভ দেখান। ধৃত নেতার ‘দৃষ্টান্তমূলক’ শাস্তির দাবি তোলেন। পুলিশ অবশ্য কাউকে আদালত চত্বরে কাউকে ঢুকতে দেয়নি।
আগের দিন আদালতে অভয়বাবুর হয়ে সওয়াল করেননি কোনও আইনজীবী। এ দিন অবশ্য চার জন আইনজীবী অরিন্দম ভট্টাচার্য, তপন হাজরা, রামকৃষ্ণ কোনার এবং সংগ্রাম সরকার তাঁর হয়ে মামলা লড়েছেন। |
আদালতের বাইরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র |
অভয়বাবুর পক্ষে দাঁড়ানো ওই আইনজীবী এবং তাঁদের গাড়ি চালকদের হুমকি দেয় বিক্ষোভকারীরা। গালিগালাজ করা হয়। অরিন্দমবাবু বলেন, “যে খুনের মামলার জন্য আমাদের মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে মা ও ছেলের অভিযোগে তাঁর নাম কোথাও নেই। ওই মামলায় আর পুলিশি হেফাজতে রাখার কোনও পথ খোলা ছিল না। তাই, আবার দু’টি মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হল।” অরিন্দমবাবুর বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, কাউকে পুলিশি হেফাজতে রাখলে দিনের দিন পুলিশকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু পুলিশ তা করেনি।” সরকার পক্ষের আইনজীবী বিজয় রাম বিচারককে বলেন, “গত সাত দিনে অভয়বাবুর দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক মিলেছে। আরও ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখলে আরও অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক অভয়বাবুকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই কার্যত গা-ঢাকা দিয়েছিলেন অভয়বাবু। গত ২৩ জানুয়ারি দলের জেলা সম্মেলনে যাওয়ার পথে উত্তরপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। |