|
|
|
|
গগৈয়ের আবাস মেঘালয়ে, দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পড়শি রাজ্যের সঙ্গে সীমানা বিবাদের জেরে এ বার খোদ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আবাস নিয়েই টানাটানি। মেঘালয় সরকার দাবি করেছে, অসম যে কেবল মেঘালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছে তাই নয়, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের বর্তমান নিবাসটিরও অবস্থান মেঘালয়ের ভূমিখণ্ডে। অর্থাৎ, অসমের মুখ্যমন্ত্রীই অন্য রাজ্যের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে জবরদখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি দুই রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের মধ্যে সীমানা বিরোধ নিয়ে সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হচ্ছে।
খানাপাড়া এলাকার কয়নাধারা পাহাড়ের মাথায় অসম সরকারের ১ নম্বর অতিথিশালা। সেখানেই, সস্ত্রীক তরুণ গগৈয়ের বাস। তিনি যখন কয়নাধারায় বসে পাহাড় জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের কথা ঘোষণা করছেন, তখনই মেঘালয়ের রাজস্বমন্ত্রী রোয়ত্রে সি লালুর দাবি করছেন খোদ গগৈ মেঘালয়ের রি-ভয় জেলার অন্তর্গত কয়নাধারা জবরদখল করে দুর্গ বানিয়েছেন। খানাপাড়া থেকে জোড়াবাট অবধি পুরো এলাকাটিই ‘বিতর্কিত’ বলে চিহ্নিত।
মেঘালয়ের দাবি এলাকাটি তাদের। অসমের দাবি, সীমানা নির্ধারণের পরে এই অংশ অসমের ভাগে পড়েছিল। তবে সীমানা নির্ধারণের পরে রচিত মানচিত্র অসম হারিয়ে ফেলেছে। সীমানা কমিশন গড়ার ক্ষেত্রেও আপত্তি জানিয়েছে অসম বিধানসভা। ফলে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ মেঘালয় সরকার আপাতত কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে।
অসম-মেঘালয়ের মধ্যে ১২ দফা সীমানা বিতর্কের জেরে দুই পারের মন্ত্রী, মুখ্য সচিব, আমলারা নিয়ম করে বৈঠক করেন। প্রায়ই দুই পারের বাসিন্দা, বনরক্ষী, এমনকী পুলিশের মধ্যেও সংঘর্ষ বাধে। ২৭০০ বর্গ কিলোমিটার ‘বিতর্কিত’ এলাকা নিয়ে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গত বছর ১৬ মার্চ মেঘালয় বিধানসভা সর্বসম্মতভাবে সীমানা কমিশন গড়ার প্রস্তাব নেয়। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর অসম বিধানসভা সীমানা কমিশনের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি অসমের তরফে মেঘালয়ের কাছে রি-ভয়, পশ্চিম খাসি ও জয়ন্তিয়া পাহাড়ের নতুন মানচিত্র চাওয়া হয়। বলা হয়, আন্তঃরাজ্য সীমানা নিয়ে মেঘালয়ের পেশ করা মানচিত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। তবে রোয়ত্রের দাবি, মেঘালয়ের পেশ করা মানচিত্র ও নথি সঠিক। তরুণ গগৈয়ের বর্তমান আবাস কবে তৈরি, কোন্ জেলা ও কোন্ রাজ্যের অধীনে রয়েছে কয়নাধারা পাহাড়, তার পর্যাপ্ত প্রমাণ মেঘালয় সরকারের হাতে রয়েছে। তাঁর কথায়, “আমাদের আশা, কেন্দ্র আমাদের পরামর্শ মেনে সীমানা কমিশন গঠনের নির্দেশ দেবে। তা হলেই, সব তথ্য-প্রমাণসহ আমাদের দাবির সত্যতা যাচাই হয়ে যাবে।”
|
|
|
|
|
|