বিভিন্ন জেলায় পড়ে-থাকা সরকারের অব্যবহৃত জমি কাজে লাগাতে উদ্যোগী হল পশ্চিমবঙ্গ কৃষিজাত শিল্পোন্নয়ন নিগম। কৃষিজ শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে ওই নিগমের পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক লক্ষ্য হিসাবে নিগম ঠিক করেছে, রাজ্যের ১৯টি জেলাতেই তাদের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত যে জমি এবং পরিকাঠামো পড়ে রয়েছে, সেগুলি আগে হাতে নেওয়া হবে। তার জন্য কৃষি, কৃষি বিপণন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, সেচের মতো সংশ্লিষ্ট অন্য দফতরগুলির সঙ্গে কথা বলা হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় রফতানির সুযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। কৃষিজাত শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের (পিপিপি) মডেলেই এগোনোর চেষ্টা করা হবে।
কৃষিজাত শিল্পোন্নয়ন নিগম রয়েছে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনে। নিগমের কাজে গতি আনা এবং আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে কী করণীয়, তার রূপরেখা ঠিক করতে ওই দফতরের মন্ত্রী সৌমেন্দ্রনাথ মহাপাত্রের উপস্থিতিতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে, জেলায় জেলায় বেশ কিছু জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা হাতে পেলে কৃষিজ পণ্য-ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে কাজে লাগানো যায়। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য দফতরগুলির সঙ্গেও কথা বলার সিদ্ধান্ত হয়। তা ছাড়া, ওই নিগমের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে সরকারি দফতরগুলি যাতে তাদের মাধ্যমে কাজ করায়, সেই ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। নিগমের চেয়ারম্যান, তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ওই দফতরের কাজ আমরা পাব। বাকি দফতরগুলির সঙ্গেও এই নিয়ে কথা বলা হবে। এক সময় এই নিগমে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হত। কিন্তু বাম জমানার অবহেলায় তা ৩০ কোটিতে এসে ঠেকেছে! সেখান থেকে আবার এই সংস্থার লাভ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।”
কৃষিজাত শিল্প সম্পর্কে মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য পান এবং আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা যোগাযোগ করতে পারেন, তাই নিগমের নতুন ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে। রাজীববাবু বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের ওয়েবসাইট তৈরি হবে। বিনিয়োগে আগ্রহীদের কাছ থেকে উৎসাহপত্র আহ্বান করব।” |