|
|
|
|
ঘেরাও-বিক্ষোভ ময়ূরেশ্বরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
নামের পাশে ওরফে লিখে আর একটি নাম বসিয়ে এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয়পত্র দিতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রশাসনিক ভবনে বিডিওকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও সমর্থকেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েক কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের আমিরুল আলি বলেন, “মল্লারপুর ২ পঞ্চায়েতের রুকুনপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন শেখ তাঁর পরিবার নিয়ে কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বিবি ওরফে বেণী বিবিকে মুম্বই পুলিশ সম্প্রতি একটি ঝামেলায় গ্রেফতার করে। তাঁর জামিনের জন্য সেখানকার আদালত রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের প্রমান স্বরূপ কাগজ চেয়ে পাঠায় ময়ূরেশ্বর থানায়। সেখানে গেলে পুলিশ জানায়, বিডিও-র কাছে গেলে হয়ে যাবে। সোমবার ব্লক অফিসে যাই।”
তাঁর অভিযোগ, “বিডিও প্রথমে বলেন পঞ্চায়েতের খাজনা বাবদ রসিদ দিতে হবে। পঞ্চায়েতে গিয়ে খাজনা বাবদ টাকা জমা দিয়ে রসিদ নিয়ে আসি। পরে বিডিও ওরফে লিখতে পারবেন না বলে জানান। সে জন্য এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে সেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেন।” বিডিও মনোমোহন ভট্টাচার্য বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি, যে নামে রেশনকার্ড ও ভোটার কার্ড আছে সেই নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিতে রাজি। কিন্তু তাঁরা দাবি করতে থাকেন, বেণী বিবির পাশে মর্জিনা বিবি উল্লেখ করতে হবে।” তাঁর দাবি, “পারব না বলতে, তাঁরা গালিগালাজ করেন। তবে রেশন কার্ড ও ভোটার কার্ড দেখে বেণী বিবির নামে সার্টিফিকেট দিয়ে দিই।”
পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আমিরুল আলির আরও অভিযোগ, “ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল ও কংগ্রেস পরিচালিত। তাই বিডিও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির যাবতীয় কাজের খতিয়ান খারাপ দেখানোর জন্য উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রেখেছেন। ১ বছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতিতে ১০০ দিন প্রকল্পের কোনও কাজ হচ্ছে না।” বিডিও বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির যাবতীয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে সভাপতি আছেন। তিনি তো পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে সমিতি পরিচালনা করছেন। সে ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা কোথায়? আর ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে গড়ে ১৩ দিন কাজ হয়েছে। কিছু কিছু পঞ্চায়েতে সাত-আট দিন কাজ হচ্ছে। দেখছি সেই কাজ বাড়ানো যায় কি না। তবে কাজ বন্ধ নেই।” |
|
|
|
|
|