বোঁয়াইচণ্ডী থেকে আরামবাগ পর্যন্ত প্রস্তাবিত ব্রডগেজ রেলপথের জন্য অধিগৃহীত জমির দাম বাড়ানো ও চাকরির দাবি তুলে বর্ধমানে সেহারাবাজার স্টেশনে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রকল্প অফিসে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় কৃষি জীবন ও জীবিকা বাঁচাও কমিটি।
মঙ্গলবার সকালে এই বিক্ষোভে নন্দনপুর, কেউটা, ইন্দুটি, মাদারপুর, মুইধারা, গোপালবেড়া ইত্যাদি ১৫টি গ্রামের চাষিরা সামিল হন। তাঁদের দাবি, দু’ফসলি জমির জন্য বিঘা পিছু চার লক্ষ টাকা ও পরিবার পিছু একটি চাকরি দিতে হবে। বেগতিক বুঝে রেলের আধিকারিকেরা সেখান থেকে সরে যান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কৃষি জীবন ও জীবিকা বাঁচাও কমিটির সম্পাদক শেখ নাসের আলির দাবি, “জমির জন্য বাজারচলতি দাম, অতিরিক্ত ৬০% ক্ষতিপূরণ ও পরিবার পিছু চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত নভেম্বরে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। চাকরির ফর্ম পর্যন্ত বিলি হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে দেখা যায় আমবাঁধ, গুইর, নাদরা মৌজায় অধিগৃহীত জমির জন্য বিঘা পিছু ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার চেক পাঠানো হচ্ছে।” আন্দোলনকারীদের তরফে তাপস তা-এর দাবি, “ইতিমধ্যেই চাষিরা ওই টাকা নিতে অস্বীকার করেছেন।” প্রকল্প আধিকারিক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে তাঁরা স্মারকলিপিও দেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন বলে তিনি চাষিদের আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “ওই প্রকল্পের জমির দাম নিয়ে আগেও কিছু সমস্যা ছিল। রেলের সঙ্গে চাষিদের বৈঠকে সমস্যা মিটে গিয়েছিল বলেই জানি। নতুন বিক্ষোভের খবর পাইনি। আমরা আইনমাফিক ক্ষতিপূরণ দিতে শুরু করেছি। চাষিরা জমির দাম বাবদ চেক নিচ্ছেন না বলেও শুনিনি। তবে চাকরি নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে শুনেছি। সেটা রেলকে দেখতে বলেছি।” |