জাতীয় সড়কে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী সেজে উঠে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি মোবাইল ও ৩ হাজার টাকা। তাদের আসানসোলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই নিয়ে ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মোট তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হল।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান চন্দ্রশেখর বর্ধন দাবি করেন, ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ধৃতরা স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ধৃতেরা সকলে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার পুটকি থানার বারারি কোপ এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “ওই দিন ৫ জনের একটি দল এই লুঠপাট করেছে। তিন জন ধরা পড়েছে। বাকি দু’জনকেও শীঘ্রই ধরে ফেলা হবে।”
|
রবিবার মধ্য রাতে কলকাতা থেকে হাজারিবাগগামী একটি বেসরকারি দূরপাল্লার বাসে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। আসানসোলের টোলপ্লাজা পেরোনোর পরেই লুঠপাট শুরু হয়। দুষ্কৃতীদের তিন জনের হাতে ছিল রিভলভার, দু’জনের হাতে ভোজালি। এক জন চালকের মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে সোজা রাস্তায় বাস চালিয়ে যেতে বলে। অন্য এক জন কনডাক্টর যোগেশ কুমারকে বেঁধে মারধর করে। এর পরে যাত্রীদের থেকে প্রথমে মোবাইল ফোন, পরে টাকা, গয়না-সহ নানা জিনিসপত্র কেড়ে নেয় তারা। কুলটির কাছে ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমানায় ডুবুরডি চেকপোস্টের কাছে একটি পুলিশের জিপ দাঁড়িয়ে থাকতে পেরে বাসের চালক গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় ঝাঁপ দেন। তাঁর চিৎকারে পুলিশ ও এলাকার মানুষজন ছুটে আসেন। এই সময় দুষ্কৃতীরা বাস থেকে নেমে পালাতে শুরু করেন। কিন্তু মুর্তজা আলি নামে এক দুষ্কৃতী ধরে ফেলেন বাসের চালক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বাকিদের হদিস পায়। গোয়েন্দা প্রধান চন্দ্রশেখর বর্ধনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ধানবাদ জেলা পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে আরও দু’জনকে ধরে।
গোয়েন্দা প্রধান চন্দ্রশেখর বর্ধন জানান, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা এর আগেও একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এরা আন্তঃরাজ্য অপরাধ চক্রের সঙ্গেও জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান। ধৃত মুর্তজা আলির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে দলীয় সংঘর্ষে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বাকিদের বিষয়ে পুলিশ আরও অনুসন্ধান করছে। এ দিকে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এলাকার অধীন ২ নম্বর জাতীয় সড়কে রাতের দিকে পুলিশি অভিযান আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান চন্দ্রশেখর বর্ধন। |