|
|
|
|
মমতাকে ‘বার্তা’ |
রাজ্য মন্ত্রিসভায় সদস্য পাঠাতে চায় না কংগ্রেস |
সঞ্জয় সিংহ • কলকাতা |
রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন মন্ত্রী না পাঠিয়ে তৃণমূলকে ‘বার্তা’ দিতে চাইছে কংগ্রেস। মন্ত্রীদের দফতর কাটছাঁট নিয়ে ‘বিবাদে’র জেরে কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী সম্প্রতি মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকম্যান্ড ‘ভাল চোখে দেখেনি’ বলেই দলের নেতাদের বড় অংশের অভিমত। সেই ‘মনোভাব’ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে জানাতে মনোজবাবুর জায়গায় নতুন করে কাউকে মন্ত্রিত্বে পাঠাতে চাইছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তবে ওই সিদ্ধান্ত এখনও ‘আনুষ্ঠানিক’ ভাবে হাইকম্যান্ড এখনও রাজ্য নেতৃত্বকে জানায়নি। এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও হাইকম্যান্ডের তরফে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা শাকিল আহমেদ সোমবার বলেন, “হাইকম্যান্ড এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর হাইকম্যান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপবাবুকে জানিয়ে দিতে পারে। ৬ মার্চ পাঁচ রাজ্যের ফল প্রকাশ। আপাতত কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতাই ওই রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। |
মনোজ চক্রবর্তী |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, পাকাপাকি ভাবেই কংগ্রেস নেতৃত্ব মনোজবাবুর জায়গায় অন্য কাউকে না-পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। বিষয়টি আপাতত প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। দলের সর্বভারতীয় এক নেতার কথায়, “হাইকম্যান্ড মনোজবাবুর জায়গায় নতুন করে কাউকেই পাঠাবে না। তা হলে দলের ভিতরে অন্যরকম বার্তা যাবে। মনে করা হবে, মনোজবাবু ভুল করেছেন বলেই তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হল। কিন্তু দলের সম্মান-মর্যাদার প্রশ্নে মনোজবাবু যে ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, তা যে হাইকম্যান্ড সমর্থনই করেছে, তা মনোজবাবুকে অনুমতি দেওয়ার মধ্যেই স্পষ্ট। এখন তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে পাঠালে বিষয়টি সম্পর্কে অন্য রকম ভাবার অবকাশ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এটা মনে হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে যে, মনোজবাবু ভুল করেছিলেন।” বিশেষত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোজবাবুদের নিয়ে কোনও বিষয়ে এমন কোনও পদক্ষেপ দলীয় নেতৃত্ব করতে চান না, যার ফলে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল ‘আঘাতপ্রাপ্ত’ হয়।
দলের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, “বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব অত্যন্ত সংবেদনশীল। কংগ্রেসকে সাইনবোর্ডে পরিণত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে মনোজবাবুরা যে ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাকে মর্যাদা দেওয়া উচিত বলেই আমরা মনে করি।” পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সাফল্যকে জনমানসে তুলে ধরার জন্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছে। সে জন্যই অধুনা বন্ধ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপত্র ফের চালু হচ্ছে বলে প্রদীপবাবু জানান। আগামী রবিবার সেই মুখপত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করতে কলকাতায় আসছেন এআইসিসি-র মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। মমতা-সরকারকে ‘স্বৈরতন্ত্রী’ আখ্যা দিয়ে মহাকরণ ছাড়েন মনোজবাবু। অনুমতি চেয়ে সনিয়া গাঁধীর কাছে তাঁর ইস্তফার প্রতিলিপি পাঠিয়েছিলেন মনোজবাবু। হাইকম্যান্ডের অনুমতি পাওয়ার পর মনোজবাবুকে ইস্তফা জমা দিতে বলে প্রদেশ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের অপর মন্ত্রী আবু হেনার দফতরও ছাঁটা হয়েছে। কংগ্রেসের এক প্রথমসারির নেতা বলেন, “হেনাদা’র দফতর ছাঁটা নিয়ে হাইকম্যান্ড বিরক্ত। রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কংগ্রেসের মযার্দাহানির চেষ্টা হচ্ছে। সেই খবরও হাইকম্যান্ডকে নিয়মিত জানানো হচ্ছে। ফলে নতুন মন্ত্রী না-পাঠানোই প্রাথমিক ভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভাবনায় রয়েছে।”
|
ব্যাহত ট্রেন চলাচল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে সিগন্যাল খারাপ হয়ে যাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা থেকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মেরামতির পরে সিগন্যাল সারানো হলেও বেশি রাত পর্যন্ত একটি লাইন বন্ধ ছিল। তাই দু’টি লাইন দিয়ে ট্রেন চালাতে হয়। ফলে বেশির ভাগ ট্রেনই চলে দেরিতে। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ রিষড়া ও শ্রীরামপুর স্টেশনের মাছে একটি ডাউন লাইনের সিগন্যাল বন্ধ যায়। ট্রেন চলাচল থমকে যায় ওই লাইনে। হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় তিনটি লাইন। একটি ডাউন, একটি আপ এবং তৃতীয়টি দিয়ে দু’দিকেই ট্রেন চলে। এ দিন যখন ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় ট্রেনের চাপ থাকে বেশি। সন্ধ্যায় লোকালের সঙ্গে প্রচুর দূর পাল্লার ট্রেনও থাকে। এর জেরে যাত্রীদের দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকতে হয়েছে। |
|
|
|
|
|