টানা ছ’দিন ওঠার পর সপ্তাহের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার। এক ধাক্কায় সেনসেক্স নামল ৩৭০.৬৮ পয়েন্ট। দিনের শেষে তা দাঁড়াল ১৬,৮৬৩.৩০ অঙ্কে।
সোমবার সময় ভাল যায়নি টাকারও। টানা চার দিন বাড়ার পর এ দিন ডলারের তুলনায় তার দাম পড়েছে ৪৮ পয়সা। ফলে ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৯.৭৯/৮০ টাকা। অশোধিত তেল আমদানির জন্য ডলারের চাহিদা বৃদ্ধিই এর মূল কারণ বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
টাকার মতোই এ দিনের আগে এক নাগাড়ে চড়ছিল শেয়ার বাজারও। টানা ছ’দিনে সেনসেক্স বেড়েছিল ৭৮২.৫১ অঙ্ক। কিন্তু সোমবার মূলত মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার হিড়িকেই সূচক পড়েছে বলে বাজার সূত্রে খবর। পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে ইউরোপের অর্থনীতি নিয়ে জমাট বাঁধা আশঙ্কাও। তা ছাড়া, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাজারের মুখও ছিল নীচের দিকেই।
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, “মুনাফার টাকা ঘরে তোলাই বাজারের নিয়ম। এতে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।” কিন্তু এর উল্টো মত পোষণ করেন সুমেধা ফিসক্যালের ডিরেক্টর ও অ্যসোসিয়েশন অফ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ মেম্বার্স অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সভাপতি বিজয় মুর্মুরিয়া। তিনি বলেন, “বাজারের মৌলিক উপাদানগুলি তেমন বদলায়নি। তাই চাকা ঘুরছে এ কথা বলা যাবে না।” ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিকের মতেও, “বাজার ফাটকাবাজ লগ্নিকারীদের দখলে। তাই এখনই স্থিতিশীলতা আসা শক্ত।” |