জেলার দু’টি বড় হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে চলছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা। তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সর্ম্পকে তাঁদের আত্মীয়দের খবর দেওয়া এবং রোগী ভর্তি করার আগে তথ্য দেওয়ার জন্য রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু’জন করে কর্মী ২৪ ঘণ্টা এই পরিষেবা দেবেন। আপাতত বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে চালু করা হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে ইদানিংকালে গণ্ডগোল বেড়ে গিয়েছে। এর কারণ বিশ্লেষণ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা দেখেছেন, রোগীর অবস্থা সর্ম্পকে তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা ঠিকঠাক খবর পাননি। রোগীর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের সঙ্গে অনেকে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেন না। তা নিয়ে রোগীর পরিজনদের ক্ষোভ থাকে। তাই রোগীর আত্মীয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সুসর্ম্পক গড়ে তোলার জন্য রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সহায়তা কেন্দ্রে এসে রোগীর নাম জানালে কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগী কোন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন, তাঁর বেড নাম্বার, তিনি কেমন অবস্থায় রয়েছেন জানিয়ে দেবেন। এমন কি তাঁকে কোন চিকিৎসক দেখছেন, সেই চিকিৎসকের সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ করা যাবে প্রযোজনে সে তথ্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া হাসপাতালের কোন বিভাগ কোথায়- সে হদিশও পাওয়া যাবে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা নানা সমস্যায় পড়েন। রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু হওয়ার পরে তাঁদের সেই সমস্যা কেটে যাবে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “দু’টি এনজিও-কে রোগী সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই এই সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।” |