সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
অন্বেষণের নাট্যোৎসব নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
|
ছবি: হিলটন ঘোষ। |
‘অন্বেষণ’ আয়োজিত নাট্যোৎসব এবার ৪৩ বছরে পা দিল। প্রতিবারের মতো এ বারেও এই নাট্যোৎসব চলল ২৩-২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিন দিনে মোট ন’টি নাট্যদল তাদের প্রযোজনা পরিবেশন করে। স্থানীয় নাট্যদল ‘সাম্পানে’র প্রযোজনা উল্লেখযোগ্য। কলকাতা থেকে এসেছিল ‘রঙ্গকর্মী’। তাদের প্রযোজনা ‘চণ্ডালিকা’র হিন্দি উপস্থাপনায় ঊষা গাঙ্গুলির নির্দেশনা ও জয়া শীল ঘোষের অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। মফঃস্বল থেকে নগরকেন্দ্রিক প্রযোজনার অবাধ উপভোগই এই নাট্যোৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে এই নাট্যোৎসবে আসছেন শ্যামসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এ বারেও তিনি নাটক দেখে তৃপ্ত। তাঁর আক্ষেপ একটাই, উৎসবের বেশিরভাগ নাটকই আগে দেখা। শ্যামসুন্দরবাবুর কথায়, “অন্বেষণের নিজস্ব প্রযোজনা সব সময়েই ভাল লাগে।” নাট্যসংস্থার প্রাণপুরুষ প্রবীর দত্ত বলেন, “অনেক চেষ্টা করেও এ বার নতুন নাটক মঞ্চস্থ করা গেল না। তবে নাটকের প্রতি ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। নাটককে আমরা মানুষের মনে ঢোকাতে পেরেছি। সব্জি বিক্রেতা থেকে মুদির দোকানিও আমাদের নাট্যোৎসব নিয়ে আলোচনা করেন।”
|
ঠাকুরনগরে সৃজন উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
|
প্রতীক্ষা নাটকের একটি মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র। |
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় ‘প্রতিধ্বনি’-র উদ্যোগে তিনদিনের সৃজন উৎসব শেষ হল রবিবার। সংস্থার ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় ঠাকুরনগর খেলার মাঠে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দিনে ছিল আবৃত্তি, মূকাভিনয়, নৃত্য এবং নাট্যানুষ্ঠান। উৎসবে চারটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে উদ্যোক্তা সংস্থার পরিবেশিত ‘প্রতীক্ষা’ এবং ‘হাসির ফুলকথা’ নাটক দু’টি অভিনয় গুণে উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। এ ছাড়া আগরপাড়ার কালপুরুষ সংস্থার নাটক ‘প্রাণের পুরুষ’ এবং কলকাতার মিনার্ভা রেপার্টরী সংস্থার নাটক ‘দেবী সপর্মস্তা’ও দর্শকদের নজর কাড়ে।
|
হাড়োয়ায় শেষ হল লালন মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
সম্প্রতি শেষ হল সপ্তম বর্ষে পড়া হাড়োয়া লালন মেলা। বিদ্যাধরী নদী সংলগ্ন একটি আমবাগানে তিনদিনব্যাপী এই মেলায় উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার বেশ কিছু বাউল। উদ্বোধনের দিন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহ বাসিন্দাদের নিয়ে হাড়োয়া বিডিও অফিসের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমা করে। শোভাযাত্রার আকর্ষণ বাড়াতে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে রনপা, ঝুমুর নাচ, ডঙ্কা বাহিনী, মুখোশ ধারী ও জোকার আনা হয়েছিল। পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মেলা শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন হাড়োয়া এবং মিনাখাঁর বিধায়ক জুলফিকার আলি মোল্লা, ঊষারানি মণ্ডল প্রমুখ। মেলার দিনগুলিতে উপস্থিত ছিলেন কবি সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। খাসবালাণ্ডা অঞ্চল লালন মেলা কমিটি আয়োজিত এই মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমন কী বাংলাদেশ থেকে আসা বাউলরা গান শুনিয়ে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষে নবকুমার সরকার জানান, এলাকার শিশু কিশোরদের উৎসাহিত করতে ছবি আঁকা, যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে কৃতীদেরও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
|
কৃষি-শিল্প-সংস্কৃতির মিলন উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
বনগাঁর ধর্মপুকুরিয়া স্কুলমাঠে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কৃষি-শিল্প ও সংস্কৃতির মিলন উৎসব। উত্তরপাড়া যুবগোষ্ঠীর উদ্যোগে আয়োজিত ওই উৎসব চলবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন কৃষিদ্রব্য, হস্তশিল্প। রয়েছে চিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছে কৃষি নিয়ে আলোচনা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
|
গাইঘাটার স্কুলে সুবর্ণজয়ন্তী
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি শেষ হল গাইঘাটার পাঁচপোতা-ভাড়াডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের উদ্যাপন অনুষ্ঠান। এই উপলক্ষে আয়োজতি শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী থেকে এলাকার বহু মানুষ। উৎসব উপলক্ষে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করা হয়। উৎসবের বিভিন্ন দিনে নাটক, সঙ্গীত, আবৃত্তি, গীতিআলেখ্য, পুকুল নাচ, ম্যাজিক শো প্রভৃতি পরিবেশিত হয়। স্থানীয় গাজনা বাজার থেকে পাঁচপোতা বিদ্যালয় পর্যন্ত ম্যারাথন দৌড়েরও আয়োজন করা হয়েছিল।
|
অশোকনগরে স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর |
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের শক্তিগড় আচার্য দুর্গাপ্রসন্ন শিক্ষানিকেতনের বর্ষব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হল গত শুক্রবার। প্রথম পর্যায়ের অনু,্ঠান শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। উৎসবে রয়েছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নেতাজির জন্মদিন পালন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে অঙ্কন, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, ক্যুইজ প্রভৃতি। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ছাড়াও প্রতিযোগিতায় এলাকা অন্যান্য বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও যোগ দিতে পারবে। উৎসবে স্বাস্থ্য ও কৃষিমেলারও আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যশিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে পুনর্মিলন উৎসব।
|
নগরউখড়া লোকউৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
নদিয়ার হরিণঘাটা থানার নগরউখড়ায় গত ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নগরউখড়া লোকউৎসব। তৃতীয় বর্ষে পা দেওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবের উদ্বোধন করেন বাউলশিল্পী সৌমেন বিশ্বাস। উপস্থিত চিলেন নাচ্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, কল্যাণীর মহকুমাশাসক শৈবাল চক্রবর্তী এবং হরিণঘাটার বিডিও সুজয় সাধু প্রমুখ। প্রথম দিন নগরউখড়া হাইস্কুল থেকে উৎসব ময়দান পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসবের বিভিন্ন দিনে রয়েছে ছৌ নৃত্য, করম নৃত্য, বাউল গানের আসর, লোকনৃত্য, লোকনাট্য, পুতুলনাচ, রায়বেঁশে, নাটক। হস্তশিল্প, কৃষি, চিত্র ও ভাস্কর্য, বিজ্ঞান ও ভূগোল নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে তিনটি অস্থায়ী মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে যথাক্রমে স্বামী বিবেকানন্দ, ভূপেন হাজারিকা ও সত্যেন্দ্র বোসের নামে। ভলিবল, খো-খো, মহিলাদের বক্সিং এ ক্যারাটে নিয়ে রয়েছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। স্বাস্থ্য সচেতনায় স্বাস্থ্যশিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে একটি স্মরণিকা।
|
ন’হাটা নাট্য উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোপালনগর |
বনগাঁ মহকুমার গোপালনগরে শেষ হয়ে গেল দু’দিনের ন’হাটা নাট্য উৎসব। স্থানীয় ন’হাটা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই উৎসবের আয়োজক ছিল স্থানীয় নাট্য সংস্থা ‘যাযাবর’। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, দু’দিন ধরে মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথম দিন অভিনীত হয় সল্টলেকের মনিরথ সংস্থার নাটক ‘মেয়েদের পাড়ায় পাড়ায়’ এবং কলকাতার অন্যদেশ সংস্থার নাটক ‘যখন অন্ধ প্রকৃতি চণ্ডালিকা’। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নাটকে দৃষ্টিহীন শিল্পীদের অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। দ্বিতীয় দিন গোবরডাঙার নকশা সংস্থার ‘রঙ্গে রঙ্গে রবি’ এবং বনগাঁর মুক্তধারা সংস্থার নাটক ‘মহেশ’ ছিল অন্যতম আকর্ষণ। এ বার উৎসবের দ্বিতীয় বছর।
|
বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা |
বাগদায় হেলেঞ্চা সবুজ সঙ্ঘের তিনিদনিরে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব শেষ হল গত শনিবার। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মহিলা ও পুরুষদের ‘রোডরেস’। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ছিল আবৃত্তি, গান, অঙ্কন, ক্যুইজ প্রভৃতি।
|
‘কোথায় কী’ বিভাগে প্রকাশের জন্য অন্তত ১০
দিন আগে অনুষ্ঠানসূচি পাঠান এই ঠিকানায়
আনন্দবাজার পত্রিকা,
জেলা দফতর,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা- ৭০০ ০০১। |
|
|