শ্মশানকালী মন্দির চত্বরে সাধুর চালাঘরের কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় সদ্যোজাত শিশুর মুণ্ড উদ্ধার হওয়ায় রবিবার উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার শালতোড়ায়। কলাকুড়ি গ্রামের ওই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই সাধুকে সামান্য মারধর করেন বলে অভিযোগ। সাধুকে আটক করে পুলিশ।
গ্রামবাসীদের দাবি, ‘কাটা’ মুণ্ডটি সাধুর চালাঘর থেকেই মিলেছে। যদিও বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, চালাঘরের পিছনে মুণ্ডটি পড়েছিল। পুলিশ সুপার বলেন, “শিশুটির আনুমানিক বয়স ১৫ দিন। যা শুনেছি, তাতে মনে হয় শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। তবে অন্য কোনও ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আপাতত ওই সাধুকে আটক করা হয়েছে।”
জেলা পুলিশের একাংশের অনুমান, অনেক ক্ষেত্রেই শিশুর মৃত্যু হলে শ্মশানে কবর দেওয়া হয়। কবর থেকে ওই মুণ্ড শেয়াল-কুকুরও তুলে আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে মুণ্ডটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হবে। স্থানীয় সূত্রের খবর, আটক সাধু লক্ষ্মীকান্ত কর্মকারের বাড়ি কলাকুড়ি গ্রামেই। বছর দশেক ধরে তিনি গ্রামের শ্মশান লাগোয়া শ্মশানকালী মন্দির চত্বরের চালাঘরে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এ দিন দুপুরে তাঁরা ওই চালাঘরে একটি শিশুর মুণ্ড দেখতে পান। তাঁরা সাধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে ‘সন্তুষ্ট’ না হয়ে কয়েকজন তাঁকে অল্প ‘মারধর’ও করেন। শালতোড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীদের একাংশ সাধুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ওই সাধু তাদের কাছে দাবি করেছেন, এ দিন সকালে ঘরের পিছনে ওই মুণ্ডটি পড়ে থাকতে দেখে, তিনি তা তুলে আনেন। তিনি শিশুটিকে খুন করেননি। |