কান্দির ডাকবাংলা সব্জি হাটে আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছে প্রায় ১২০টি চালাঘর। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন এলাকার সব্জি ব্যবসায়ীরা। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ বড়ঞা থানার ডাকবাংলা মোড়ের কাছে ওই সব্জি বাজারে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়েই কান্দি থেকে দমকল দফতরের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। কান্দির মহকুমাশাসক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে সবজি বাজারের বেশ কিছু চালাঘর পুড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু সব্জি ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন। ওই সব্জি বাজারে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।” পুলিশের তদন্ত চলছে।
ডাকবাংলা মোড়ের কাছে প্রায় পৌনে দু’বিঘা জায়গা জুড়ে ব্যক্তি মালিকানায় ওই সব্জি বাজার গড়ে উঠেছে। সপ্তাহের অন্য দিন সকাল-সন্ধ্যে বাজার বসলেও রবিবার সেখানে হাট বসে। হাটবারের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে থাকে। এদিন অবশ্য সেখানে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ব্যবসায়ী সব্জি নিয়ে বসলেও লোকজনও ছিল কম। ওই সব্জি বাজারে মোট ১৭৮টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে সব্জি ব্যবসায়ী ৬৪ জন, মাছের ব্যবসায়ী ১১ জন, মশলা বিক্রেতা ১৭ জন, বস্ত্র ব্যবসায়ী ১৮ জন, লোহার বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রেতা ৬ জন, চা বিক্রেতা ৩ জনের চালা ঘর আগুনে পুড়ে যায়।
ডাকবাংলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে ফজলে কাদের বলেন, “রবিবার হাটে বেচাকেনার জন্য বড়ঞা ব্লকের গ্রামশালিকা, নিমা, বেলগ্রাম, বাহাদুরপুর, কামদেববাটি, শাবলপুর, সাটিতারা, কাঁকড়া, লক্ষণপুর-সহ লাগোয়া ভরতপুর থানার গড্ডা গ্রামের সব্জি ব্যবসায়ীরা শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ডাকবাংলা সব্জি বাজারে ভিড় করেন। সেই সঙ্গে বহরমপুর, লালগোলা, সাগরদিঘি, সাঁইথিয়া, বেলডাঙা থেকেও মশলা ব্যবসায়ীরা সব্জি বাজারে আসেন। কিন্তু আগুন সব কিছু পড়ে গিয়েছে, বিশেষ করে সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
এদিকে মহকুমা প্রশাসনের তরফে স্থানীয় বিডিও-কে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীপাঞ্জনবাবু বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে পাঠানোর কথা বিডিও-কে বলা হয়েছে। ইকোনমি রিহ্যাবিলিটেশন ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের জন্য তালিকা জেলাপ্রশাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” |