নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইন্দু পুরীর অবিশ্বাস্য রেকর্ডের আরও কাছে চলে গেলেন বাংলার পৌলমী ঘটক। টেবল টেনিসে সাত নম্বর জাতীয় খেতাব জিতে।
গত বার দেশের এক নম্বর তারকা কলকাতায় চোটের জন্য খেলতে পারেননি। সেই আক্ষেপ মেটালেন রবিবার লখনউয়ে জাতীয় টিটি ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন সামিনিকে হারিয়ে। মৌমা দাসকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা সামিনি হারলেন ০-৪। পৌলমী ফাইনালে উঠেছিলেন বাংলারই অঙ্কিতা দাসকে ৪-৩ হারিয়ে।
পৌলমীর ফিরে আসার পাশাপাশি আরও বড় খবর, শরদ কমলের হার। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শরদকে ৮-২ হারালেন তামিলনাড়ুরই অমল রাজ। বাংলার শুভজিৎ সাহা সেমিফাইনালে হারেন। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছিলেন পৌলমীর স্বামী সৌম্যদীপ রায়কে। |
লখনউয়ে ফোনে ধরা হলে পৌলমী বললেন, “এখানে এসেই প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমার খেলাটা স্পিন ভিত্তিক। এখানে নতুন টেবলে সেটা কাজই করছিল না। তাই দলগত বিভাগে খুব খারাপ খেলি। হেরে গেছিলাম। কান্নাকাটি করতে হচ্ছিল।” দলগত বিভাগের ফাইনালে পৌলমী-মৌমার পেট্রোলিয়াম বোর্ড বহু দিন পরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না। পৌলমী বললেন, “আমি তো মৌমাকে বলেছিলাম, আমায় আর টিম ইভেন্টে না খেলাতে।”
সাত নম্বর খেতাবের তাৎপর্য কী? পৌলমী জবাব দিলেন, “বিয়ের পরে এই খেতাব বলে অন্য মানে। আমার বাবা এখানে ছিলেন উৎসাহ দিতে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি দারুণ উৎসাহ দেন। টিফিন পর্যন্ত বানিয়ে দেন প্র্যাক্টিসে যাওয়ার সময়। ওঁদের জন্য ট্রেনিং পদ্ধতি পাল্টায়নি। ওদের মুখ রাখতে পেরেছি বলে দারুণ লাগছে।” তাঁর কথায়, “ফাইনালে ৪-০ জিতেছিলাম তিন নম্বর খেতাব জেতার সময় এন আর ইন্দুকে হারিয়ে। আর এত সহজে জিতিনি। সিঙ্গলসে আমার টার্গেট ছিল প্রত্যেকটা পয়েন্ট জেতা। যা হবে, ভেবে ভগবানের নাম করে খেলেছি। তাই জিততে পেরে ভাল লাগছে। আস্তে আস্তে উন্নতি করেছি।”
ইন্দু পুরী আট বার খেতাব জিতেছিলেন, সেটার আরও কাছে এসে কেমন লাগছে? পৌলমীর এখনও আক্ষেপ, কলকাতায় খেলতে না পারার জন্য। “আর কোনও দিন কলকাতায় খেলতে পারব কি না কে জানে। চোটের জন্য খেলতে পারিনি। তখন এক নম্বর ছিলাম। এখনও তাই থাকলাম। ইন্দুদির রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। হলে হবে।”
তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, ওই রেকর্ড ছোঁয়াই পৌলমীর প্রধান লক্ষ্য। |