পরিত্যক্ত শিশু কন্যা ফলকের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তবে নতুন করে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি। কয়েক দিনের মধ্যে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে নিয়ে আসা যাবে বলেও আশা করছেন চিকিৎসকরা। অন্য দিকে, শিশুটি কাদের হাত ধরে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল সে রহস্যও খুব শীঘ্র উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন পুলিশকর্তারা।
এইমস থেকে এক চিকিৎসক ফলক সম্পর্কে বলেন, “আমি এমন ঘটনা আগে দেখিনি। এর মধ্যে শিশুটি দু’বার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ওর সারা গায়ে কামড়ানোর চিহ্ন রয়েছে। গালেও ছ্যাঁকার দাগ।” মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের আশ্বাস দিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।
সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি দিল্লির এইমসে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই শিশু-কন্যাকে। হাসপাতালের নার্সরাই ওর নাম রাখেন ‘ফলক’ অর্থাৎ ‘আকাশ’। ১৫ বছরের এক কিশোরী ফলককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিজেকে শিশুটির মা বলে পরিচয় দিয়ে জানায়, খাট থেকে পড়েই মেয়ের এই অবস্থা। কিন্তু হাসপাতালের তরফে কিশোরীটির দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়। তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় একটি জুভেনাইল হোমে।
পুলিশ শিশুটির প্রকৃত বাবা-মায়ের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, ওই কিশোরী জানিয়েছে, গত বছর এক সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ি থেকে পালায় সে। ওই ব্যক্তি তার উপরে কয়েক বার যৌন নিগ্রহ চালিয়েছে বলেও জানিয়েছে সে। এক মাস আগে ওই ব্যক্তি ফলককে নিয়ে আসে এবং তাকে নিজেদের সন্তান বলে পরিচয় দিতে বলে। কিশোরীর ওই সঙ্গীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরিচিত কারও থেকে ফলককে নিয়ে আসে কিশোরীটির সঙ্গী। ওই ব্যক্তি সম্ভবত মুম্বইয়ে বিয়েও করেছে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে জানতে পেরে সে মুম্বইয়ে পালিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তার খোঁজে দিল্লি পুলিশ মুম্বইয়ে একটি দল পাঠিয়েছে। শিশুটির হাতবদল হওয়ার রহস্য ভেদ করতে খোঁজ চলছে বিহারেও। |