মধ্য মাঘেই আকাশে যেন আষাঢ়ের মেঘ!
রবিবার সকালে আকাশে হাল্কা কুয়াশা ছিল। একটা সময়ে তা ভেদ করে রোদ উঁকিও মেরেছিল। কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে, ততই মেঘ এসে চেপে বসেছে। এমনকী, দুপুরের দিকে দু’-এক ফোঁটা বৃষ্টিও হল।
বৃষ্টি আর বাড়েনি। তবে দিনভর আর সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের দুপুরে কেন এমন পরিবেশ?
আবহবিদদের ব্যাখ্যা: ছত্তীসগঢ়-ঝাড়খণ্ড দিয়ে একটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বয়ে যাচ্ছে। তার জেরে পূর্ব ও মধ্য ভারতের কিছু কিছু জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে। যার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। এতে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকার পরিমাণ বেড়েছে। তাই এমন আবহাওয়া।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি উত্তর ভারত থেকে সরে আসার পরে সেখানে ফের শীত দাঁত বসিয়েছে। পঞ্জাব-হরিয়ানার কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। ঝঞ্ঝাটি আপাতত পূর্ব ভারত অতিক্রম করে যাওয়ার মুখে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে আবার উত্তুরে বাতাস ঢোকার সম্ভাবনা। যাতে আবার শীতের আঁচ টের পাওয়া যেতেই পারে।
কিন্তু আকাশ পরিষ্কার হয়ে কবে ঢুকবে উত্তুরে হাওয়া?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ সোমবার রাত থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। মঙ্গলবার সকালে ঠান্ডাটা নতুন করে মালুম হবে। গত ক’দিন যাবৎ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ছে। রবিবার তা ১৫ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। সোমবার তা ১৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের ১৪ ডিগ্রিতে নেমে আসবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
দক্ষিণবঙ্গে শীত অনেকটা কমে এলেও উত্তরবঙ্গে কিন্তু শীত লম্বা ইনিংস খেলে চলেছে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাঘুরি করছে ৭-৯ ডিগ্রির আশপাশে। আকাশও পরিষ্কার। আবহবিদদের মতে, উত্তরবঙ্গে আগামী ক’দিন কড়া ঠান্ডা থাকবে। |