নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নিজেদের সাফল্যের কথা শোনাতে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্তরের সম্মেলনে যাচ্ছে রামপুরহাট ১ ব্লকের আয়াস পঞ্চায়েত। বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করা দু’জন শ্রমিক ওই সম্মেলনে যাওয়ার ডাক পেয়েছেন। ২ ফেব্রুয়ারি ওই সম্মেলন হবে।
মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত প্রকল্পের (১০০ দিনের কাজের প্রকল্প) বীরভূমের জেলা নোডাল অফিসার সুপ্রিয় অধিকারী বলেন, “গত আর্থিক বছরে (২০১০-’১১) এই জেলার রামপুরহাট ১ ব্লকের আয়াস পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছে। ওই পঞ্চায়েত ৩০৫টি পরিবারকে ১০০ দিন কাজ দিয়েছিল। সামগ্রিক ভাবে ওই পঞ্চায়েত গড়ে প্রায় ৪০ দিন কাজ দিয়েছিল, যেখানে জেলার গড় কর্মদিবস ছিল ৩৩ দিন। ওই পঞ্চায়েত মোট ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। জেলার পঞ্চায়েতগুলির গড় খরচ ছিল দেড় কোটি টাকার সামান্য বেশি। এ বছরও ওই পঞ্চায়েত ভাল কাজ করছে। ওই প্রকল্পে ভাল কাজ করা রাজ্যের কয়েকটি পঞ্চায়েতের সঙ্গে আয়াসও নয়াদিল্লির সম্মেলনে ডাক পাওয়ায় আমরা খুশি।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিতাভ সেনগুপ্ত বলেন, “আয়াস পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ভাল কাজ করেছে বলে নয়াদিল্লিতে এই জেলার প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে। রামপুরহাট ১ বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান ও দু’জন শ্রমিক সেখানে যাচ্ছেন।”
রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও শান্তিরাম গরাই বলেন, “গত বছরের মত এ বছরও আয়াস পঞ্চায়েত এই প্রকল্পে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ওই পঞ্চায়েতের কাজ জেলার অন্যান্য পঞ্চায়েতগুলিকে আশাকরি ভাল কাজ করার জন্য উৎসাহ দেবে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় সামগ্রিক ভাবে এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা। বীরভূম জেলায় মোট ১৬৭টি পঞ্চায়েত রয়েছে। অথ্যৎ গড়ে পঞ্চায়েতগুলি এক কোটি টাকাও খরচ করতে পারেনি। সেখানে আয়াস পঞ্চায়েত এখনও পর্যন্ত প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করেছে। আয়াস পঞ্চায়েতের এই সাফল্যের চাবি কাঠি কী? আয়াস পঞ্চায়েত এলাকায় ২৮টি গ্রাম রয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের নবকুমার মণ্ডল বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে এলাকায় অনেক ঢালাইয়ের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সেচের সুবিধার জন্য প্রচুর পুকুর সংস্কার করে জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পতিত জমির মাটি কেটে চাষাবাদের যোগ্য করা হয়েছে।” তিনি জানান, সারা বছর ধরেই তাঁরা একশো দিনের প্রকল্পের কাজ করেন।
সহায়তা কেন্দ্র। বাঁকুড়ার দু’টি বড় হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে চলছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা। তিনি বলেন, “রোগীদের সর্ম্পকে তাঁদের আত্মীয়দের খবর দেওয়া এবং রোগী ভর্তি করার আগে তথ্য দেওয়ার জন্য রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু’জন করে কর্মী ২৪ ঘণ্টা এই পরিষেবা দেবেন। আপাতত বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে চালু করা হচ্ছে।” |