|
|
|
|
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, বাংলাদেশে গুলিতে হত চার |
সংবাদসংস্থা • ঢাকা |
দিনভর অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ এবং বিএনপি সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এঁদের মধ্যে দু’জন চাঁদপুর এবং দু’জন লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা। দেশজুড়ে আহতের সংখ্যা প্রায় তিনশো। গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ১৫০ জনকে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু পুলিশ এবং সাংবাদিক। আগুন লাগানো হয়েছে বহু গাড়িতে। শেখ হাসিনা সরকারই ‘পরিকল্পিত ভাবে’ এই সব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এর প্রতিবাদে আগামিকাল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সমমনস্ক দলগুলিকে নিয়ে ঢাকায় তারা গণমিছিল করবে বলে প্রধান বিরোধী দলের তরফে জানানো হয়েছে। গুলিচালনার তদন্তে দু’টি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
সাধারণ নির্বাচনের সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে দেশের রাশ তুলে দেওয়ার যে বন্দোবস্ত বাংলাদেশে এত দিন চালু ছিল, গত বছর সংবিধান সংশোধন করে তা বাতিল করে দেয় হাসিনা সরকার। এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। এর পর গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের এক জনসভা করেন খালেদা। সেই সভা থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে তিনি ২৯ জানুয়ারি দেশজুড়ে গণমিছিলের ডাক দেন। কিন্তু শাসক দল আওয়ামি লিগও একই দিনে ঢাকায় জনসভা করার কথা জানানোয় ২৯শে রাজধানীতে সব ধরনের মিছিলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনাতেও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, পাবনায় ১৪৪ ধারা জারি হয়। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সহ মহানগরগুলিতে মিছিল কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে দিয়েও জেলার কর্মসূচি বজায় রেখেছিল বিএনপি। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলায় পথে নামেন বিএনপি কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের গণমিছিলে পুলিশ বাধা দিতেই শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ছাড়াও নাটোর, বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, মাদারিপুর, টাঙ্গাইল, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবেড়িয়া অশান্তির খবর আসতে থাকে একের পর এক জেলা থেকে। |
|
|
|
|
|