ধান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল পরিচালিত হাওড়ার শ্যামপুরের দু’টি সমবায় সমিতির দুই আধিকারিক-সহ ৬ জনকে শনিবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ৬টি ট্রাক আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৯০০ বস্তা ধান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১০৮০ টাকা কুইন্টাল দরে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনার জন্য রাজ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম শ্যামপুুরের কামদেবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি এবং সুলতানপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিকে দায়িত্ব দেয়। আজ বিকেলে উদয়নারায়ণপুরের রামপুর এবং ভবানীপুরে শিবির করে ধান কেনা শুরু হয়। সেখানে চালকলের লোকজনও ছিলেন। সেই সময়ে চাষিরা গিয়ে অভিযোগ তোলেন, তাঁদের থেকে না কিনে ফড়েদের চাষি সাজিয়ে ধান কেনা হচ্ছে। চাষিরা শিবির দু’টি ঘেরাও করেন। দু’টি শিবিরেই পুলিশ আসে। খাদ্য সরবরাহ দফতর এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
চাষিদের অভিযোগ, ওই দুই সমবায় ফড়েদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছে। তাদের দিয়ে ‘উইথড্রয়াল স্লিপ’ সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। ধানের দাম দেওয়া হচ্ছিল কুইন্টালপ্রতি ৮৩০ টাকা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে নিগমের পক্ষ থেকে উদয়নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সুলতানপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির কর্তা পার্থেন্দু জানা, কামদেবপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির কর্তা তাপস মণ্ডল-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “চাষিদের কাছ থেকে না কিনে ফড়েদের কাছ থেকে ধান কেনার অভিযোগে ছয় জনকে ধরা হয়েছে।”
শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল বলেন, “সমবায় সমিতিগুলির রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। গ্রামবাসীরাই সেখানে থাকেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” |