সংবাদসংস্থা • পুদুচেরি ও কাকিনাড়া (অন্ধ্রপ্রদেশ) |
তাঁদের নেতাকে পুলিশ লাঠিপেটা করে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। তারই পাল্টা জবাবে পুদুচেরির ছিটমহল অন্ধ্রপ্রদেশের ইয়ানাম শহরের একটি সংস্থার গ্রুপ প্রেসিডেন্টকে (অপারেশন) খুন করার অভিযোগ উঠল সংস্থার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস বিধায়ক মাল্লাডি কৃষ্ণ রাওয়ের কথায়, “ইয়ানাম শহরে এর আগে এ রকম ঘটনা কখনও ঘটেনি।”
শুক্রবার শ্রমিক নেতা এম এস মুরলী মোহনের নেতৃত্বে ওই সংস্থার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য অফিসে গিয়েছিলেন। সেই সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয় মুরলী মোহনের। পাল্টা হিসেবে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সংস্থার গ্রুপ প্রেসিডেন্ট (অপারেশন) কে সি চন্দ্রশেখরকে মারধর করেন। এর ফলেই তিনি মারা যান বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, শহরেও ভাঙচুর চালান শ্রমিকরা। শহরের আবাসন-স্কুল-গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে ন’জন আহত হয়েছেন। আজ এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান জি এন নায়ডু অবশ্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত কাল সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ। বেশ কিছু দিন ধরেই মজুরি বাড়ানো-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের মতান্তর চলছিল। কারখানার পাঁচ শ্রমিককেও সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, সেই সব বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্যই সংস্থার ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মুরলী মোহনের নেতৃত্বে প্রায় ৬০০ শ্রমিক অফিসে যান। কিন্তু আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁরা অফিসে ঢুকতে পারবেন না, এই অজুহাতে জায়গা খালি করে দিতে বলেন অফিসের কর্মীরা। শ্রমিকরা তা না করায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। অভিযোগ পুলিশ এসে লাঠি চালায়। গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১০০ জনকে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন মুরলী মোহন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চন্দ্রশেখরের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। লোহার রড দিয়ে চন্দ্রশেখরের মাথায় মারা হয়। আহত চন্দ্রশেখরকে কাকিনাড়ার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
পরিস্থিতি সামলাতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ইয়ানামে পৌঁছেছে। এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানান পুদুচেরির জেলা কালেক্টর এস বি দীপক কুমার। |