টুকরো খবর
স্ত্রী-পুত্রের সৌজন্যে বেঁচে গেলেন গারো জঙ্গি নেতা
জঙ্গি দলের সেনাধ্যক্ষকে ঘিরে ফেলেও মারলেন না কম্যান্ডোরা। পুলিশের দাবি, জিএনএলএ সেনাধ্যক্ষ সোহন ডি শিরার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা থাকায় শেষ মূহুতে মানবিকতার খাতিরে কম্যান্ডোরা গুলি চালাননি। আইজি (জিএইচপি) রাজু জানান, গত কাল উইলিয়ামনগর থানার অন্তর্গত নেংমেংদালগ্রে এলাকার রোংরি নদীর পাড়ে সোহনের ঘাঁটির সন্ধান মেলে। দীর্ঘদিন ধরেই গারো পাহাড়ে হত্যা, লুন্ঠন, অপহরণ চালানোর নেতা সোহনকে খুঁজছিল পুলিশ। তাঁকে ধরতে গিয়ে, বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। অবশেষে, গতকাল, ‘সোয়াট’ কম্যান্ডোরা সোহনকে বাগে পেয়ে যান। কিন্তু, গুলি চালানোর আগে, দূরবি, কম্যান্ডোরা দেখতে পান, শিবিরে সোহনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এরপরেই তাঁরা গুলি না চালাবার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশের বক্তব্য, সোহনের মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলিবর্ষণে শিবিরে থাকা বাকিদেরও মৃত্যু ঘটত। সেই ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। পুলিশের তরফে বলা হয়, ‘‘আশা করি, আমরা যে মানবিকতার নিদর্শন দিয়েছি, জঙ্গিরাওনিরীহদের মারার আগে, সেই কথা মনে রাখবে।’ এ দিকে, মেঘালয় এনার্জি কর্পোরেশনের দুই ইঞ্জিনিয়র মাজাও ও পোথামির পরিবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য জঙ্গিদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু, জঙ্গিদের তরফে, রাজনৈতিক সচিব বিকদত নিকজাং মারাক দাবি করেন, “খাসি ও জয়ন্তিয়া পাহাড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নততর হলেও গারো পাহাড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবার হাল অত্যন্ত খারাপ। তার প্রতিবাদেই, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রকল্পের দুই ইঞ্জিনিয়রকে আমরা অপহরণ করেছি। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত হলে তাঁদের ছাড়া হবে।”

‘নেতৃত্বে বদল নয়, বদলান নিজেদের’
পার্টি কংগ্রেসে দলীয় নেতৃত্বে যে বিশেষ রদবদল হচ্ছে না, ফের তার ইঙ্গিত দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। তাঁর যুক্তি, এই মুহূর্তে দলের নেতৃত্ব বদল নয়, নেতাদের নিজেদের বদলানোর প্রয়োজন বেশি। দু’দিন আগেই উত্তর ২৪ পরগণায় সিপিএমের জেলা সম্মেলনে দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু মন্তব্য করেছিলেন, দলকে মানুষের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করতে তুলতে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি বিমানবাবু নেতৃত্বে বদল চাইছেন? এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, “উনি বলতে চেয়েছেন, নেতাদের নিজেদের বদলাতে হবে।” পার্টি কংগ্রেসের প্রস্তুতিপর্বে জেলায় জেলায় সিপিএম নেতৃত্বে বিশেষ কোনও বদল দেখা যাচ্ছে না। পার্টি কংগ্রেসে সমস্ত স্তরে সম্পাদকদের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন দফায় বেঁধে দেওয়া হবে। তা সত্ত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতে বহু বছর ধরে পদে থাকা, বয়সের ভারে ন্যুব্জ সম্পাদকদেরও রেখে দেওয়া হচ্ছে। কারাট যুক্তি দিয়েছেন, “শুধু দলীয় নেতৃত্বে বদল করে কোনও লাভ হবে না। তার থেকে কাজের ধরন বদলানোটা বেশি জরুরি।”

দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে বনরক্ষীরা
টহল দেওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বনরক্ষীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কোকরাঝাড়ের রিপু-চিরাং সংরক্ষিত অরণ্যে। বনবিভাগ সূত্রে খবর, হাল্টুগাঁওয়ের উল্টাপানি এলাকায় কাল রাতে জিপে নিয়মমাফিক টহলে বেরিয়েছিলেন তিন রক্ষী। অন্ধকারে ওত পেতে থাকা দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপরে গুলি চালালেও কপালজোরে তাঁরা বেঁচে যান। তাঁদের গাড়িতে, ৬টি গুলি লেগেছে। এর আগে, ২১ জানুয়ারি, চোরাই কাঠ কারবারিদের আক্রমণে তিন বনরক্ষী জখম হয়েছিলেন। গত বছরও দুষ্কৃতী হামলায় এই এলাকায় এক বনরক্ষী মারা যান। জখম হন কয়েকজন। রেঞ্জ অফিসে বোমাও মারা হয়েছে। বনকর্তাদের মতে, সব ক’ট আক্রমণের ক্ষেত্রেই চোরাকারবারিদের হাত রয়েছে। চোরাকারবারিরা কাঠ, বালি, বোল্ডারের জন্য এই জঙ্গলে ঢোকে। এর মধ্যে, কাঠ চোরাকারবারের পরিমাণ সব থেকেবেশি। গত এক বছর ধরে,জঙ্গলে টহল বাড়ায়, চোরাই কাঠ কারবারিরা বেজায় অসন্তুষ্ট। তাই বিভিন্ন ভাবে বনরক্ষীদের উপরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।

হারলে দায় রাহুলের, মত শরদের
উত্তরপ্রদেশে ভোটে কংগ্রেস যদি ভাল ফল করতে না পারে তবে তার জন্য দায়ী করা হবে রাহুল গাঁধীকে। আজ এমনই জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। উত্তরপ্রদেশে ভোটে কংগ্রেসের সাফল্য নিয়ে রাহুল গাঁধীর দায়িত্ব কতখানি, সে প্রসঙ্গে একটি চ্যানেলকে পওয়ার বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গাঁধীকেই সামনে রেখে প্রচার চালিয়েছে। দিগ্বিজয় সিংহ কিংবা অন্য কোনও নেতাকে তুলে ধরা হয়নি। কংগ্রেস যা-ই বলুক না কেন, যাঁরা নির্বাচন বিশ্লেষণ করতে পারেন তাঁরা কিন্তু বলবেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ব্যর্থ হলে তার দায় বর্তাবে রাহুলেরই ঘাড়ে।” পওয়ারের মন্তব্যকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, “দল যদি ব্যর্থ হয় তবে তার দায় কোনও এক জনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।”

মুঙ্গেরের গ্রামে জীবন্ত দগ্ধ ৫
বিহারে মুঙ্গের জেলার মিগাঁও গ্রামে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটেছে দু’টি শিশু-সহ পাঁচজনের। পুলিশ জানায়, প্রচণ্ড শীতের জন্য কাল রাতে গ্রামবাসীরা কাঠকুঠো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে খড় দিয়ে ছাওয়া একটি কুটিরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই লেলিহান অগ্নিশিখা গ্রাস করে নেয় সংলগ্ন পঁচিশটি মাটির বাড়ি। জ্বলন্ত ঘর থেকে বেরোতে না পারায় পুড়ে মৃত্যু ঘটে অমলা দেবী (৪৫), বুলবুল দেবী (২৫), লক্ষ্মী কুমারী (৪), শৈলজা কুমারী (৩) ও বিভাকর কুমারের (১২)। খবর পেয়ে আজ ওই গ্রামে যান বিহারের অন্যতম প্রতিমন্ত্রী এ পি কুশাওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। জেলা প্রশাসন মৃতের পরিবারগুলিকে দাহকার্যের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে সাহায্য দিয়েছে।

জমি নিয়ে বিবাদ, গুলিবিদ্ধ দু’জন
জমি নিয়ে বিবাদে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার দুপুরে ধুবুরির দক্ষিণ শালমারা থানার বাংলাদেশ লাগোয়া থরিগ্রামভিটার ঘটনা। সংঘর্ষে আরও ৩ জন জখম হন। তাঁদের ধুবুরি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই গ্রামের দুই বাসিন্দার মধ্যে জমি নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়। দু’পক্ষের লোক লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক যুবক গুলি ছুঁড়লে সহিদ আলি এবং তাঁর মেয়ে সনেকা খাতুন জখম হন। ধুবুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত দত্ত বলেন, “ওই যুবকের খোঁজ চলছে।”

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু মা-ছেলের
আজ ভোরে বিহারে রোহতাস জেলায় ডেহরি অন শোন স্টেশনে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে মৃত্যু ঘটেছে এক তরুণী বধৃ ও তাঁর পাঁচ বছর বয়সী ছেলের। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গঢ়বা যাওয়ার জন্য ওই স্টেশনে সন্তানকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামছিলেন ওই তরুণী। কোনও ভাবে পা ফস্কে যায় তাঁর। ট্রেনটি চলতে শুরু করলে তার চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় মা ও ছেলের দেহ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে দু’জনের। ময়না তদন্তের জন্য দেহ দু’টি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বারোশো কেজি গাঁজা উদ্ধার
গাঁজা রাখার দায়ে গ্রেফতার হল ৯ ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় বারোশো কেজি গাঁজা। মালকানগিরি জেলার বালিমেলা-চিত্রকোন্ডা ঘাটে ঘটনাটি ঘটেছে। এস পি অনিরুদ্ধ সিংহ জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজাভর্তি ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশ। ট্রাকে তরমুজের নীচ থেকে পাওয়া যায় চল্লিশ বস্তা গাঁজা। এর পরই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত ট্রাকচালক চিরঞ্জি লাল-সহ ন’জনকে। তদন্ত চলছে।

তড়িদাহত হয়ে মাজুলিতে মৃত ২
গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণের কাজ চলাকালীন তড়িদাহত হলেন ৭ শ্রমিক। এঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাজুলিতে। পুলিশ জানায়, জেঙরাই এলাকার ফুলোনি লাহোন গ্রামে বিদ্যুৎবাহী তারের লাইন বসানোর কাজ হচ্ছিল। তখনই, উচ্চ বিদ্যুৎবাহী তারে বিদুৎস্পৃষ্ট হন শ্রমিকরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলা শান্তারাম মিলি ও জিতেন মিলি নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

ছাদ ধসে মৃত ২
বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার তারসন গ্রামে আজ একটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়লে মারা যায় দু’টি শিশুকন্যা। জখম হয়েছেন আরও তিন। পুলিশ জানায়, ভাঙা ছাদের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় অঞ্জলি (৮ ও পূজা (৬) নামে দু’টি শিশুর নিথর দেহ। জখমদের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.