টুকরো খবর
পদোন্নতিতে বিধি ভাঙার অভিযোগ ডাক্তারদের
স্বাস্থ্য দফতরের সদ্য প্রকাশিত পদোন্নতি ও বদলি তালিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম’। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, চিকিৎসকদের পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি এবং অন্যায় ভাবে অনেককে বঞ্চিত করা হয়েছে। কী ভাবে নিয়ম ভাঙা হয়েছে, তার উদাহরণ দিয়ে সংগঠনের তরফে জানানো হয়, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরেরা তিন বছর এক পদে থাকলে তবে প্রফেসর-পদে উন্নীত হন। কিন্তু দু’জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদোন্নতির ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। আরও অভিযোগ নিউরোসার্জারি বা ইএনটি-র মতো বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদ খালি রয়েছে। প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পদোন্নতির ব্যবস্থা হয়নি। তা ছাড়া প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মিলিয়ে ৬৩৪টি পদ খালি থাকলেও কেন মাত্র ৩৪৩ জনের পদোন্নতি হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেননি কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের জবাবে স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কার কখন, কেন পদোন্নতি হবে, সেটা কি এখন কোনও সংগঠন শেখাবে?” তাঁর বক্তব্য, অনেক পদ খালি থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি হয়নি, এটা সর্বাংশে সত্য নয়। যে-ক’টি পদ খালি রয়েছে, ধীরে ধীরে তা পূরণ হবে। তিনি আরও বলেন, “তিন বছর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদে না-থেকেও যাঁদের পদোন্নতি হয়েছে, তাঁদের আসলে ‘রেট্রোসপেক্টিভ প্রোমোশন’ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দীর্ঘদিন তাঁদের পদোন্নতি হয়নি। তাই তাঁদের একটু ছাড় দেওয়া হয়েছে।”

মৃত আরও পাঁচটি শিশু
ফের ২৪ ঘন্টায় মালদহ সদর হাসপাতালে আরও ৫ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে জানুয়ারি মাসে ২৫ দিনে মালদহ সদর হাসপাতালে ৮৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যু কোনওভাবেই বন্ধ না হওয়ায় শুক্রবার সদর হাসপাতালে ডিওয়াইএফআই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন শিশু মৃত্যুতে সদর হাসপাতালে রোগীদের পরিবারের লোকেদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বেশ কয়েকজন অভিভাবক হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে শিশুদের নার্সিংহোমে ভর্তি করেছেন। শিশুদের হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা মানতে চাননি মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মহম্মদ রসিদ। তিনি বলেন, “শিশু মৃত্যুতে অনেক পরিবার আতঙ্কিত হয়েছে ঠিক, তবে কেউ তার শিশুদেরদের হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে আমার জানা নেই।” পরিসংখ্যান দিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল জানান, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি মালদহ সদর হাসপাতালে ৯৯৯ টি শিশু চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিল। ২৪৮ জন মা ওই হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন। মারা গিয়েছে ৮৭ জন। মৃত শিশুদের মধ্যে ৫৪ জনের ওজন কম ছিল। হাসপাতাল ছেড়ে শিশু নিয়ে যাওয়ার কথা কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও কালিয়াচকের সুকদেবপুরের ভোঁদল চৌধুরি বলেন, “বুধবার থেকে আমার ১০ মাসের শিশু পুত্র হাসপাতালে ভর্তি। কিছুতেই ছেলের বমি পায়খানা কমছে না। চিকিৎসকও কিছুই বলছে না। যেভাবে হাসপাতালে একের পর এক শিশু মারা যাচ্ছে তাতে এখানে ছেলেকে রাখার আর সাহস পাচ্ছি না। ছেলেকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করাচ্ছি।”

হাসপাতালে ডাক্তারদের দাবি
নানা দাবিদাওয়ায় আসানসোল হাসপাতালের সুপারের হাতে দাবিপত্র তুলে দিল প্রগ্রেসিভ ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালে এসএনসিইউ চালু, দ্রুত ট্রমা সেন্টার নির্মাণ, চিকিৎসকদের সময় মতো আসা-যাওয়া এবং হাসপাতাল চত্বরে অবাঞ্ছিতদের যাতায়াত বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

ভোজ, অসুস্থ ৪৭

শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ভোজ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তেহট্টের নিশ্চিন্দিপুরের ৪৭ জন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার তাঁদের তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গ্রামের একটি বাড়িতে বুধবার রাতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ভোজ খেয়ে শিশু ও মহিলা-সহ মোট ৪৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.