|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
পাঠকের স্থানটি কোথায় |
বইপোকা |
শুরু হইয়া গিয়াছে বইমেলা। কেহ অবশ্য কূট আপত্তি তুলিবেন, বলিবেন, শুরু হইয়া না হইল শুরু। তাহা হউক, সূত্রধরের ঠুকঠাক ব্যতীত বঙ্গজীবন আলুনি হইয়া যায়। অদ্য বরং একটি অন্য প্রশ্ন তুলিবার সময় আসিয়াছে। তাহা হইল গ্রন্থের এই উৎসবে পাঠকের স্থানটি ঠিক কী? কলিকাতা পুস্তকমেলার আয়োজক সংস্থা ফি বছর প্রতিশ্রুতিমান প্রকাশককে পুরস্কৃত করেন, লেখক এবং লিটল ম্যাগাজিনও পুরস্কৃত হইয়া থাকে। কিন্তু পাঠক? বস্তুত শুধু বইমেলা কেন, সম্বৎসর বিবিধ পুরস্কারের বন্যায় পাঠকের স্থান খড়কুটা অপেক্ষাও সুনীচেন। না, পুরস্কারে মহা কিছু আসিয়া-যায় এমন বলিতেছি না। কেবল সেই মানসিকতাটিকে প্রশ্ন করিতেছি যাহা ‘পাঠক’কে কেবলই ‘ক্রেতা’ বানাইয়া রাখিতে চায়। বই কেহ পড়িল কি না পড়িল তাহাতে থোড়াই কেয়ার, কত কপি বিক্রীত হইল, তাহাই আসল। সেই কারণেই, ক্রেতার জন্য নানা টোপ (পরিভাষায় যাহাকে ‘অফার’ বলে), পাঠককে সম্মান জানাইবার তেমন কোনও ব্যবস্থা নাই। তদুপরি মনে রাখিতে হইবে, বইয়ের বিক্রি আর পড়ুয়ার সংখ্যাবৃদ্ধি এক কথা নহে। কারণ বাংলা বইয়ের একটি বড় অংশ এখন বিক্রয় হয় গ্রন্থাগারের জন্য, সরকারি অনুদানে। অথচ সাহিত্যের গভীর পাঠক, নিবিষ্ট পাঠক ক্রমশ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হইয়া উঠিতেছে। ভবিষ্যতে ছাপা বইসকল থাকিবে, নাকি দুনিয়ায় রাজ করিবে ই-বুক সে তর্ক তুলিবার আগে ভাবিয়া দেখা দরকার, বই হার্ডই হোক বা সফ্ট তাহা পড়িবে কে? প্রশ্নটি লইয়া ভাবা প্র্যাকটিস করা উচিত, এখনই। |
|
|
|
|
|