সর্বজনীনতার শর্ত সুস্থ অঙ্গীকার
অন্য ভাবনা চাই
বার্তা হোক সুচিন্তিত
সরস্বতী পুজোর মঞ্চে রাজনৈতিক চাপানউতোর বন্ধ হওয়া উচিত। কোনও ‘থিম’ তুলে ধরে পুজোর মণ্ডপ থেকেই সামাজিক বার্তা দেওয়া যেতে পারে। তাতে এক দিকে যেমন সচেতনতা বাড়ে, মণ্ডপও হয়ে ওঠে নান্দনিক।
অনুপ পড়ু্য়া। ব্যাঙ্ককর্মী।

কলেজ মোড়ের পুজোর মডেল-লেখায় যে ভাবে নেতানেত্রীদের মুখ বিকৃত করা হয়, ভাল লাগে না। ব্যঙ্গ যদি করতেই হয়, গভীর চিন্তা-প্রসূত বার্তা থাক। যাতে রাজনীতিটাও সুস্থ হয়। সমাজ উপকৃত হয়।
অদৃজা ত্রিপাঠি। ছাত্রী।

সমাজের কথা ভাবুক
শব্দ-তাণ্ডব বন্ধ হোক
সরস্বতী পুজোতেও রাজনৈতিক আকচাআকচি ভাল লাগে না। জল অপচয় বন্ধ করা, গাছ লাগানোর মতো বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী হতে পারে। রাজনৈতিক ‘লড়াই’ ছেড়ে ছাত্র সংগঠনগুলো বরং এমন ‘থিম’ নিয়ে চিন্তা করুক। সমাজের কথা ভাবুক।
পূরবী বসু। সঙ্গীতশিল্পী।


আমাদের স্কুলে পুজোয় বিজ্ঞান প্রদর্শনী হয়। কলেজ মোড়েও এমন হলে ভাল লাগত। ওখানে যাঁরা পুজো করেন, তাঁদের এমন কিছু ভাবা উচিত যা ছোট-বড় সবার ভাল লাগবে। পুজোর ক’দিন এত জোরে সাউন্ড বক্স-ই বা বাজে কেন?
অভিনব রায়। ছাত্র।

শিক্ষণীয় কিছু হোক
বিষয় হতে পারে উষ্ণায়ন
রাজনৈতিক নেতাদের বিকৃত মডেল বানিয়ে কুৎসা সমর্থন করা যায় না। পাশের লেখাগুলোও অনেক সময়ে রুচির ধার ধারে না। এ সব বন্ধ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। পুজোর প্রদর্শনী হোক অন্য রকম। এমন কিছু যা থেকে শেখার থাকে।
জগদ্বন্ধু ঘোষ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।


পুজোর প্রদর্শনীতে বিজ্ঞান সচেতনতা, সামাজিক সচেতনতার বার্তা থাকলে ভাল হয়। কলেজ মোড়েও উষ্ণায়ন বা শক্তির অপচয় বন্ধ, বায়ুদূষন রোধের উপায় নিয়ে প্রদর্শনী হতে পারে। তাতেই সর্বজনীন উপকার।
মধুসূদন গাঁতাইত। সহ-সম্পাদক, সায়েন্স সেন্টার।

সামাজিক বার্তা চাই
কাম্য সুস্থ সংস্কৃতি

এমন কিছু মডেল ও লেখা থাকে যা খুবই দৃষ্টিকটু। এত মানুষ যেখানে পুজো দেখতে আসেন, সেখানে সামাজিক বার্তা তুলে ধরতে হবে। সাম্প্রতিক কালের কোনও বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী হতে পারে। তাতে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়ে।
সপ্তদীপ সামন্ত। অধ্যাপক।


ক’দিন আগেই হয়ে গেল লোক-উৎসব। এখন হস্তশিল্প মেলা চলছে। শহর জুড়েই একটা অন্য আবহ। সেই সুর-তাল-লয় কেটে যাক, এমন কিছু অনভিপ্রেত। পুজোর মণ্ডপ থেকে বরং বৃহত্তর কল্যাণের বার্তা দেওয়া হোক।
আলোকবরণ মাইতি। সঙ্গীতশিল্পী।


শব্দ-বিধি
প্রথমত, সাউন্ডবক্স বাজাতে পৃথক প্রশাসনিক অনুমতি বাধ্যতামূলক। না থাকলে বাজানো
চলবে না। চোঙা ব্যবহার নিষিদ্ধ। একমাত্র ছোট সাউন্ডবক্সই বাজানো যায়, অনুমতি ও বিধি-নির্দিষ্ট
ভাবে। শব্দ-মাত্রা কখনই যেন ৬৫ ডেসিমেলের সীমা না ছাড়ায়। আশপাশে অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষের
বসবাস থাকলে, সাউন্ড বক্সও চলবে না। রাত ১০ টার পরে বক্স বাজানো কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।

বিধি মানার অঙ্গীকার
শব্দদানবের বিরুদ্ধে এগিয়ে এল শহরেরই একটি ক্লাব। শহরের অন্য
ক্লাবের প্রতিও তাদের বার্তা, পুজো হোক। কিন্তু সেখানে যেন বিকট ভাবে
মাইক না বাজে। এমন হলে সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে
ছোট ছেলেমেয়ে ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। শহরের সাহাভড়ংবাজারের নটরাজ ক্লাবের
প্রতিশ্রুতি, সরস্বতী পুজোয় সাউন্ডবক্স বাজবে, তবে নির্দিষ্ট শব্দ-সীমার
মধ্যে। বাজানো হবে একমাত্র রবীন্দ্র সঙ্গীত। ক্লাবের অন্যতম সদস্য শঙ্খশুভ্র
দাসের বক্তব্য, “বিকট শব্দে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হন। অন্যের অসুবিধা
করে আনন্দ করার মানেই হয় না। স্নিগ্ধ পরিবেশেই হোক বাণী-বন্দনা।”

প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি
পুজো আনন্দের। কাউকে সমস্যায় ফেলে আনন্দ হয় না। একমাত্র নির্দিষ্ট-বিধি মেনেই সাউন্ড
বক্স বাজাতে হবে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারি থাকবে। রাত দশটার পরে কোনও
ভাবেই বক্স বাজানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
সুরেন্দ্র গুপ্ত। জেলাশাসক।

প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা
হাইকোর্টের বিধি মেনেই যেন সবাই সাউন্ড-বক্স বাজান। কারও যেন সমস্যা না হয়।
পুলিশের নজরদারি থাকবে। বিকট আওয়াজের অভিযোগ এলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
প্রবীণ ত্রিপাঠি। পুলিশ সুপার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.