খেলা
স্বাস্থ্যের লড়াই
পাওয়ার লিফটিং, ওয়েট লিফটিং, বডি বিল্ডিং এবং কুস্তি। সঙ্গে বাড়তি আর্কষণ ফিটনেস শো এবং বেবি শো। হাওড়া টাউন বডি বিল্ডিং অ্যান্ড ফিজিক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি সালকিয়ার সম্মিলনী পার্কে এই প্রতিযোগিতাগুলির আয়োজন করেছিল। নাম ছিল ‘স্বাস্থ্য মেলা’। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
আয়োজক সংস্থার কার্যকরী সভাপতি এবং বডি বিল্ডিংয়ে মিস্টার ইন্ডিয়া অঞ্জন মিত্র বললেন, “এই খেলাগুলিতে বাংলা এক সময় এগিয়ে ছিল। এখন সেই সুনাম নেই। তরুণ প্রজন্মকে আর্কষিত করতে এই আয়োজন।” পাঁচ দিনের এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিযোগীরা এসেছিলেন। ছেলেদের ১২টি এবং মেয়েদের সাতটি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়। কেপটাউনে আয়োজিত ইউথ কমনওয়েলথ গেমস-এ ভারোত্তলনে ৪৮ কেজি বিভাগে দেশের হয়ে রুপো জিতেছেন হাওড়ার পাঁচলার মেয়ে জ্যোতি মাল। এই প্রতিযোগিতায় তিনি সোনাই পেলেন। হাওড়ার মেয়ে চৈতালি বর ৭৫ কেজি বিভাগে এবং পুঁইল্যা ব্যায়াম সমিতির মমতা খাঁড়া ৭৫ কেজি ঊর্ধ্ব বিভাগে পেলেন সোনা। পুরুষ বিভাগে কলকাতার কৌশিক চন্দ্র ১০৫ কেজি ঊর্ধ্ব বিভাগের সেরা লিফটার হলেন। ৯৪ কেজি বিভাগে সোনা জিতলেন রানাঘাটের অনুপ যাদব।
কলকাতার বালক সঙ্ঘের প্রতিযোগীরা পাওয়ার লিফটিং-এ নজর কাড়লেও হাওড়ার শুভাশিস পাল ১২০ কেজি বিভাগে সেরা হন। কুস্তিতেও বেশ কয়েকটি পদক হাওড়ার ঘরে আসে। মেয়েদের ৫৫ কেজিতে শম্পা পোদ্দার এবং ৫৯ কেজিতে টুম্পারানি বাউর চ্যাম্পিয়ন হন । ছেলেদের ৪৫ কেজিতে সেরা হন সঞ্জয় মান্না। রাজ্য কুস্তি সংস্থার সচিব অমিত সাহা বললেন, “মোট ৬৫ জন কুস্তিতে অংশ নেন। ভাল উদ্যোগ। দর্শকও ভালই হয়েছিল।”
বয়স ৫৫। এখনও টানটান চন্দননগরের উমাপদ মাইতির শরীরে। একাধিক বার রাজ্য ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় সফল হয়েছেন। এখানেও বডি বিল্ডিংয়ে নেমেছেন। এই প্রতিযোগিতায় ৭০ কেজি বিভাগে লড়ে পেলেন চতুর্থ স্থান। আক্ষেপ করে উমাপদবাবু বললেন, “১৭ বছর বয়স থেকে বডি বিল্ডিং করছি। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। জুট মিলে কাজ করি। নিজের খাওয়ার পিছনেই মাসে হাজার পাঁচেক টাকা দরকার। তা সম্ভব হয় না।” ‘বেস্ট ফিজিক চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ ৬৫ কেজিতে প্রথম হয়ে ভদ্রেশ্বরের প্রসেনজিৎ দাস বললেন, “দাদার সাহায্যে খেলা চালিয়ে যাচ্ছি। চাকরি পেলে ভাল হত।” আয়োজকদের পক্ষ থেকে দূরের প্রতিযোগীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
আয়োজক সংস্থার সহ-সভাপতি প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন পাওয়ার লিফটার ও কোচ তন্ময় দত্ত বললেন, “সাধারণত গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরাই এই ধরনের খেলায় আসে। উপযুক্ত পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে খেলাগুলি যেন ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।” প্রতিযোগিতার শেষে লক্ষ্মীকান্ত দাস, তুষার শীল প্রমুখ সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

ছবি: রণজিৎ নন্দী
ষষ্ঠীতলা বারোয়ারির অনুষ্ঠান
প্রতিবছর দুর্গা পুজোয় নিত্যনতুন থিম তৈরি করে পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করাই শুধু লক্ষ্য নয়। বরং পুজোর তহবিল থেকে কিছুটা অংশ সমাজসেবার কাজে খরচ করে শিবপুর ষষ্ঠীতলা বারোয়ারি। সারা বছর ধরেই চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সম্প্রতি ষষ্ঠীতলা পার্কের মাঠে ওই ক্লাবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হল বিনা ব্যয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির ও এলাকার বিভিন্ন স্কুলের মেধাবী দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পুস্তক প্রদান। উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়, মেয়র মমতা জয়সোয়াল, কাউন্সিলর তরুণ হালদার প্রমুখ।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.