|
|
|
|
জাতীয় পতাকা উল্টো, ‘শো-কজ’ করা হল মহকুমা ভূমি-কর্তাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁর দফতরে জাতীয় পতাকা উল্টো করে টাঙানোয় ‘শো-কজ’ করা হল উলুবেড়িয়ার মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে শুক্রবার সকালে উলুবেড়িয়ার মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (এসডিএলএলআরও) মৃণালকান্তি সর্দারকে ‘শো-কজ’-এর চিঠি পাঠান হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অশোক দাস। দফতরের কোনও কর্মীর ভুলে জাতীয় পতাকা উল্টো করে টাঙানো হয়েছিল বলে মেনে নিয়েছেন মৃণালবাবু। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সংলগ্ন এলাকার লোকজন দেখেন, ওই দফতরে জাতীয় পতাকা উল্টো করে টাঙানো রয়েছে। দফতরের সামনে ভিড় জমে যায়। সে সময়ে দফতর বন্ধ ছিল। খবর দেওয়া হয় মহকুমাশাসক দেবকুমার নন্দনকে। তিনি দফতরের দুই কর্মীকে পাঠান। কিন্তু দরজায় তালা থাকায় তাঁরা ফিরে যান। মহকুমাশাসকের দফতর থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। মহকুমা প্রশাসনের দুই কর্মীকে নিয়ে পুলিশ তালা ভেঙে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ঢোকে। জাতীয় পতাকা সোজা করে টাঙানো হয়। তার পরে ওই দফতর তালা বন্ধ করে চাবি নিজের কাছে রেখে দেন মহকুমাশাসক। শুক্রবার কাজে যোগ দিতে এসে দফতরের কর্মীরা দেখেন তালা দেওয়া রয়েছে। মহকুমাশাসকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে এসে তালা খোলা হয়।
মহকুমাশাসক বলেন, “নৈশপ্রহরী ওই দফতরে তালা দিয়ে উধাও হয়ে যান। তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় তালা ভাঙতে হয়। উল্টো করে জাতীয় পতাকা টাঙানো অপরাধ। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার)-কে জানিয়েছি।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অশোক দাস বলেন, “এ ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। বিষয়টি জানতে পারার পরে আমি মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে শো-কজ করেছি। উত্তর সন্তোষজনক না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মৃণালবাবু বলেন, “ভুল হয়ে গিয়েছে। যাঁদের উপরে পতাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁরাই ভুলটা করেছেন। কোন কর্মীকে পতাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|