টুকরো খবর |
অভিযোগ মিথ্যা, জবাব প্রাক্তন ইসরো কর্তার
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
এস ব্যান্ড স্পেকট্রামের অনুমতি দেওয়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার। একই সঙ্গে আক্রমণ করলেন ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণনকে। মাধবন সাফ জানিয়ে দিলেন, রাধাকৃষ্ণন সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছেন। রাধাকৃষ্ণন অবশ্য জানিয়েছেন, মাধবন-সহ ৪ বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত। এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণও রয়েছে। গত বুধবার মাধবন-সহ চার বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র নজিরবিহীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। বলা হয়েছে, ওই চার জন কোনও সরকারি সংস্থায় কাজ করতে পারবেন না। ২০০৫ সালে ডেভাস নামে এক বেসরকারি সংস্থাকে এস-ব্যান্ড স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যানট্রিক্স। অভিযোগ, যে দরে ওই সংস্থাকে স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ইসরো তাতে প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হত সরকারের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই চুক্তি বাতিল হয়।
|
মোদীর প্রশংসা কংগ্রেসের বিজ্ঞাপনে
সংবাদসংস্থা • আমদাবাদ |
কংগ্রেসের বিজ্ঞাপনে ভূয়সী প্রশংসা নরেন্দ্র মোদীর! এই ঘটনায় গুজরাতে কংগ্রেস রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গুজরাতের কিছু শহরে সংবাদপত্রের সঙ্গে কংগ্রেসের একটি বিজ্ঞাপন বিলি করা হয়েছে। রাজ্যের সব মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের কথা রয়েছে তাতে। বিজ্ঞাপনের বক্তব্য অনুযায়ী, মোদী গুজরাতে বিজেপি-র মুখ্য কাণ্ডারী এবং নির্বাচনী কৌশল তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। রাজ্যকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব চেষ্টাই করেছেন তিনি। ডিসেম্বর মাসে গুজরাতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় যাঁর দিকে বার বার আঙুল তুলেছে কংগ্রেস, বিজ্ঞাপনে তাঁর প্রশংসা করার অর্থ কী? গুজরাত কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ দোশির বক্তব্য, “রাজ্যের সব মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের কথাই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। মোদী একাই প্রগতির কৃতিত্ব নিতে চান। আমরা বলতে চাই, গুজরাত প্রথম থেকেই প্রগতিশীল রাজ্য।” দোশি জানিয়েছেন, তাঁরা ‘সম্পূর্ণ চিত্রই’ পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে চান। ওই বিজ্ঞাপন নিয়ে সারা রাজ্যেই প্রচার চালাতে চায় কংগ্রেস।
|
মানের পাশে নেই কোনও আইনজীবী
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুণে |
তাঁর বাসের চাকা পিষে মেরেছে ন’জনকে। আর সেই ঘাতক বাসের চালক সন্তোষ মানের হয়ে মামলা লড়তে রাজি নন পুণের কোনও আইনজীবী। ‘মানবিকতার খাতিরেই’ এই সিদ্ধান্ত বলে পুণে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আজ সকালে যখন মানেকে আদালতে তোলা হয়, তখন তাঁর হয়ে এই মামলা লড়তে রাজি হননি কেউ। মহারাষ্ট্র ও গোয়ার বার কাউন্সিলের প্রিভিলেজ কমিটির সদস্য মিলিন্দ পওয়ারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আইনত প্রত্যেক অভিযুক্তেরই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ পাওয়া উচিত। কিন্তু মানে যা করেছে, তা কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না। তাই আমরা কেউই তাঁর হয়ে মামলা লড়ব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
|
ফের বার্ড ফ্লু ত্রিপুরায়, মুরগি নিধন শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
|
চলছে মুরগি নিধন। লেম্বুছড়ার সরকারি খামারে। শুক্রবার। ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
ফের বার্ড ফ্লু-র প্রকোপে ত্রিপুরা। রাজধানী লাগোয়া লেম্বুছড়া এলাকায় বার্ড ফ্লু-র জাবীণু মিলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। আজ সকাল থেকে লেম্বুছড়ার সরকারি খামারগুলিতে মুরগি ও হাঁস নিধন শুরুও হয়েছে। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে প্রায় দু’হাজার হাঁস-মুরগি মারা হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, হাঁস-মুরগি নিধনের জন্য মোট ১৬টি বিশেষ দলও তৈরি করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকেও। দিন কয়েক আগে লেম্বুছড়া এলাকার একটি খামারের কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় কিছু মুরগির রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল ভোপালের একটি পরীক্ষাগারে। রিপোর্টে দেখা যায়, মুরগিদের দেহে রয়েছে বার্ড ফ্লু-র জাবীণু।
|
মেঘালয়ে অপহৃত দুই ইঞ্জিনিয়ার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের রাতে, কড়া পুলিশ প্রহরা সত্ত্বেও মেঘালয় এনার্জি নিগমের তিন ইঞ্জিনিয়ারকে রংখম এমইসিএল চত্বর থেকেই অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা। এক ইঞ্জিনিয়ারকে পরে মুক্তি দিলেও বাকিদের সন্ধান নেই। পুলিশ জানায়, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মার্শাল সুয়ের ও বনি মাজাও এবং সহকারী এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র আপুস পোথমিকে রাতে দরজায় ধাক্কা দিয়ে বাইরে আনা হয়। দরজা খুলে তাঁরা দেখেন একে-৪৭ হাতে জঙ্গিরা দাঁড়িয়ে। রাইফেল উঁচিয়ে জঙ্গিরা তাঁদের অনুসরণ করতে বলে। খানিক দূর হাঁটার পরে মার্শালের মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে জঙ্গিরা তাঁকে ছেড়ে দেয়। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলের দিকে। তাঁদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
এ দিকে, আজ দুই জিএনএলএ ও এক এনডিএফবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে সিআরপিএফ। তিন জঙ্গি, দুটি বাইকে গারো হিল সীমা দিয়ে অসমে ঢুকছিল। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক পাওয়া যায়। পুলিশের সন্দেহ, তারা বাংলাদেশ থেকে গারো পাহাড়ে ঢুকেছিল।
|
নদী থেকে সংজ্ঞাহীন মহিলা উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পরিচিত এক যুবকের ডাকে সাড়া দিয়ে মেঘালয় থেকে কোকরাঝাড়ে এসেছিলেন এক মহিলা। নদী থেকে মিলল তাঁর গলাকাটা দেহ। তবে তিনি মারা যাননি। বরং হাসপাতালে পুলিশকে জবানবন্দী দিয়েছেন। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দোটমা এলাকায়। পুলিশ জানায়, গত কাল গোঙিয়া নদীতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই মহিলার দেহ মেলে। রিমোলা মুশাহারি নামে ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান এলে তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর বাড়ি উদালগুড়ি জেলার কইরবাড়িতে। বিয়ের পরে তিনি মেঘালয়ের স্মিথে থাকেন। তিনি ও তাঁর স্বামী একটি হোটেল চালান। কোকরাঝাড়ের এক যুবক রূপক ব্রহ্ম, সেই হোটেলে প্রায়ই খেতে আসত। সেই সূত্রেই পরিচিতি বাড়ে। রিমোলাকে ‘দিদি’ বলে ডাকত সে। দু’দিন আগে সেই ভাইয়ের আমন্ত্রণে রিমোলা কোকরাঝাড়ে ঘুরতে এসেছিলেন। কিন্তু রূপক তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ও জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে গলা কেটে নদীতে ফেলে দেয়।
|
১৩/৭ চক্রী গাওলির জিমে
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
এক সময়ের দাপুটে মাফিয়া ডন অরুণ গাওলির জিমন্যাসিয়ামের সদস্য ছিল ১৩/৭ বিস্ফোরণ কাণ্ডের এক অভিযুক্ত। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে মুম্বই পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখা (এটিএস)। এটিএস প্রধান রাকেশ মারিয়ার দাবি, এই ব্যক্তিই একটি বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছিল।
সোমবার এই ঘটনায় নাকি আহমেদ ও নাদিম আখতার নামে দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারির কথা জানিয়েছিল এটিএস। যে দু’জন বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছিল তাদের পরিচয় সে দিন প্রকাশ করেননি মারিয়া। তাদের ‘অভিযুক্ত এ’ ও ‘অভিযুক্ত বি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। শুক্রবার মারিয়া জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের বাইকুল্লা এলাকায় গাওলি পরিবারের একটি জিমন্যাসিয়াম রয়েছে। তাতে যোগ দিয়েছিল এই দুই অভিযুক্তের এক জন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি জিমন্যাসিয়ামেও যোগ দিয়েছিল সে। তবে মুম্বইয়ের কোনও মাফিয়া ডনের সঙ্গে ১৩/৭ কাণ্ডের যোগ নেই বলে ইঙ্গিত এটিএসের।
|
টু জি কান্ডে ফের সমন
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টু-জি স্পেকট্রাম মামলায় নতুন করে সমন জারি করা হল এসার সংস্থার অংশুমান ও রবি রুইয়া এবং লুপ টেলিকম সংস্থার আই পি খৈতান ও কিরণ খৈতানের বিরুদ্ধে। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারক ও পি সাইনি। এর আগে ২১ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য চার জনকে সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আসেননি। সে প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের তরফের আইনজীবী জানান, সমন ঠিক সময়ে না পৌঁছানোর কারণেই আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এর পরই নতুন সমন জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। আইনজীবী এও জানিয়েছেন যে অভিযুক্তদের চার জনই কাজের জন্য বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছেন। তা বিবেচনা করেই আদালতে হাজিরার দিন প্রায় এক মাস পরে রাখা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে তাঁদের ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে।
|
চা-কর্মী অপহৃত |
চা-বাগানের কর্মীকে অপহরণ করল কার্বি জঙ্গিরা। গোলাঘাট-কার্বি সীমানার মেথনি চা-বাগানে ঘটনাটি ঘটে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান চত্বরেই রয়েছে এই বাগান। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে কেপিএলটি জঙ্গিরা বাগানের ডোলামারা ডিভিশনে ঢুকে হরেন তাকডি নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে হাজির হয়। রাইফেল মাথায় ঠেকিয়ে, হরেনবাবুকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে মেথনি-সহ পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অসম চা-উপজাতি ছাত্র সংস্থা হুমকি দিয়েছে, অবিলম্বে হরেনবাবুকে মুক্তি না দিলে কার্বি বাসিন্দাদের উপরে হামলা করা হবে। আজ সকালে মেথনি ও হাতিকুলি চা-বাগানের শ্রমিকরা ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। এর আগে, হাতিকুলির একাধিক কর্মীকে জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল। কার্বি ও চা শ্রমিকদের নিয়ে শান্তি কমিটিও গড়া হয়েছে। চা শ্রমিকদের দাবি, কার্বি জঙ্গিদের হাত থেকে হরেনবাবুকে মুক্ত করতে কার্বি গ্রামবাসীদেরই সক্রিয় হতে হবে।
|
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ |
একটি নৌকার ধাক্কায় ডুবে গেল আর একটি নৌকা। এই দুর্ঘটনায় তিন জন নিখোঁজ। বিহারের সারন জেলায় গঙ্গা ও সরজু নদীর সঙ্গমে গত কাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। উল্টোনো নৌকায় সাত জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। |
|