|
|
|
|
|
|
|
নৃত্য সমালোচনা... |
|
মনে থাকবে বহু দিন |
চৈতি ঘোষ |
সম্প্রতি বিড়লা সভাঘর প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয় ইন্দ্রাণী দত্ত কলা নিকেতনের অষ্টম বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠান। সে দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ‘কৃষ্ণভাবনা’ নৃত্যাংশটির মাধ্যমে, যেখানে ইন্দ্রাণীর সাবলীল ভঙ্গিমা ছিল মুগ্ধ করার মতো। বিশেষ করে ‘লাগি লগন পতি সখি’ গানটির সঙ্গে মঞ্চ দাপিয়ে ইন্দ্রাণীর নৃত্য ভঙ্গিমা এক অসাধারণ মুহূর্ত
গড়ে তোলে। এর পর প্রদীপ প্রজ্বলন করেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় ও ‘সৃষ্টিরত্ন’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।
অনুষ্ঠানের মূল পর্বে ইন্দ্রাণীর সংস্থার বিভিন্ন ধারার নৃত্যশৈলীতে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ও তাদের ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলিত প্রয়াসে কত্থক, ওড়িশি, ভরতনাট্যম, লোকনৃত্য ও সৃজনশীল নৃত্য পরিবেশিত হয়। অত্যন্ত সুচারু ও পরিশীলিত এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বেই ধরা পড়ে কঠিন অনুশীলনের ছাপ। |
|
ছবি: নির্মল চক্রবর্তী |
বিশেষ করে ইন্দ্রাণীর সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা অবশ্যই প্রশংসা পাবেন।
এর পর বাংলা ও হিন্দি ছায়াছবির একগুচ্ছ গানে আধারিত নৃত্যের সম্ভার নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত হলেন ইন্দ্রাণী দত্ত। তাঁর লাবণ্যমণ্ডিত শরীরী বিভঙ্গ ও সুন্দর মুখজ অভিনয় সকলের মন ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে ‘বাতাসে গুনগুন’ গানটির সঙ্গে শিল্পীর নৃত্য-একাত্মতা বহু দিন মনে থাকবে দর্শকদের।
পরবর্তী পর্যায়ে জয়দীপ রায় ও তাঁর ছাত্রীদের সঙ্গীত পরিবেশন অনুষ্ঠানের স্বাদ বদল করে। কিন্তু একেবারে চূড়ান্ত পর্বে ইন্দ্রাণী ও তাঁর সম্প্রদায় ‘সৃষ্টি’র নান্দনিক উপস্থাপনা দর্শকদের উচ্ছ্বসিত করে তোলে এবং আরও এক বার শিল্পী নিজেকে এক জন সফল নৃত্যশিল্পী রূপে মেলে ধরেন। রঙিন আলোয় যেন মঞ্চ হয়ে ওঠে মায়াবী জগৎ।
সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুন্দর সঞ্চালনা অনুষ্ঠানটিতে আলাদা মাত্রা যোগ করে। |
পরিণত পরিবেশনা
|
শতরূপা চক্রবর্তী |
সম্প্রতি মহাজাতি সদন প্রেক্ষাগৃহে বার্ষিক উৎসবের আয়োজন করল বাগুইআটি ‘নৃত্যাঙ্গন’। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মন্ত্রী অরূপ রায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুহিতা দাস চক্রবর্তী।
সমবেত সঙ্গীত এবং নৃত্যের মাধ্যমে পরিবেশিত হয় ‘শারদ অর্ঘ’। কেকা সরকার, বিপ্লব চন্দ্র, অর্পিতা রায় প্রমুখের ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘আজ ধানের ক্ষেতে’ প্রভৃতি গানগুলির সঙ্গে ছিল সমবেত নৃত্য। বিশিষ্ট অভিনেত্রী অলকানন্দা রায় এবং অভিনেতা দুলাল লাহিড়িকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সংস্থার শিশু শিল্পীদের ‘ঠাকুমার ঝুলি’ অবলম্বনে ‘সাতভাই চম্পা’ নৃত্যনাট্যটি মনে রেখাপাত করার মতো। সব শেষে পরিবেশিত হয় মহিষাসুরমর্দিনী আধারিত নৃত্যভাবনা ‘দুর্গে দুর্গতি নাশিনী’। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন জয়িতা বিশ্বাস। নৃত্যের প্রতিটি অংশেই ছিল নিখুঁত রেওয়াজ ও অনুশীলনের প্রতিফলন। তাই নৃত্য পরিবেশনাটি নিঃসন্দেহে উৎকর্ষতার দাবি রাখে। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন রানা দত্ত, অলক রায় এবং দেবাশিস মজুমদার। |
|
|
|
|
|