ছাত্রছাত্রী ও মহিলারা যাতে আরও বেশি করে ভোটার তালিকায় নাম তোলাতে আগ্রহী হন, সেই জন্য এ বার বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তার অঙ্গ হিসেবে স্কুল-কলেজেও ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র দেওয়ার ও পূরণের পরে তা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। বুধবার, জাতীয় ভোটার দিবসে কমিশনের এ কথা জানান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত।
মুখ্য নির্বাচনী অফিসার বলেন, “কমিশনের নির্দেশ মেনে রাজ্যের স্কুল ও কলেজগুলিতে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদনপত্র দেওয়া এবং জমা নেওয়া হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাস।” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী ভাবে ওই কাজ হবে, তা-ও ব্যাখ্যা করেন সুনীলবাবু। তিনি বলেন, স্কুল ও কলেজের কর্তৃপক্ষ ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র দেওয়া এবং জমা নেওয়ার জন্য এক জন করে কর্মীকে বিশেষ দায়িত্ব দেবেন। তার পরে কমিশনের কর্মীরা গিয়েই আবেদনপত্রগুলি সংগ্রহ করবেন। নিয়মবিধি মেনে সেগুলি যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন তাঁরাই।
মৌলালি যুব কেন্দ্রে জাতীয় ভোটার দিবসের সভায় সুনীলবাবু জানান, রাজ্যে চলতি বছরে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ২২ লক্ষ নতুন ভোটারের নাম উঠেছে। তার মধ্যে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ভোটার ১৩ লক্ষ। তার পরেও অনেকের নাম তালিকায় ওঠেনি। তাই বিশেষ করে তরুণ ভোটার ও মহিলাদের নাম তোলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও যাঁদের নাম এখনও ভোটার তালিকায় ওঠেনি, তাঁরা বছরের যে-কোনও সময়েই যথাযথ ভাবে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে পারেন।
এ দিনের সভায় স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম বলেন, “রাজ্যের সব বৈধ বাসিন্দার নাম যাতে ভোটার তালিকায় ওঠে, তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।” ভোটার তালিকায় নাম তোলা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে সচেতন করার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার ময়দানে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে কমিশনের তরফে একটি ট্যাবলোও প্রদর্শন করা হবে। কমিশনের পক্ষ থেকে এই ধরনের ট্যাবলো প্রদর্শন এই প্রথম। |