সিপাহিজলা
পশুখাদ্য পাচারের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ কর্তৃপক্ষের
বাঘ, সিংহ, ভল্লুক, চিতাবাঘ, স্নো লেপার্ড-সহ সিপাহিজলা চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণীর জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যে ভাগ বসাচ্ছে মানুষ। কার্যত অর্ধাহারেই দিন কাটাচ্ছে ত্রিপুরার সিপাহিজলার পশুপাখিরা। অভিযোগের তির চিড়িয়াখানার একশ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। সিপাহিজলার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অজিত ভৌমিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ পশুাপাখিদের খাঁচার পাশেই গর্ত করে রাখা হচ্ছে হাতসাফাই করা জিনিসগুলিরয়েছে মাছ, গোমাংস, ভুসি, গুড় ইত্যাদি। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা। প্রথমে জিনিসগুলি গর্তে রেখে শুকনো পাতা বা পশুপাখির বর্জ্য দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। পরের দিন সরিয়ে রাখা সেই বাসি ‘অর্ধেক’ খাবার যাচ্ছে খাঁচায়। আর সেদিনের টাটকা খাবার পাচার হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, চিড়িয়াখানার কর্মীদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাটির একাংশেরও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিড়িয়াখানার এক কর্মী জানান, সমস্ত ব্যাপারটি ঘটানো হয় চিড়িয়াখানার এক স্তরের কর্মীর সঙ্গে পশুখাদ্য সরবরাহকারীদের যোগসাজশেই। আর এক কর্মীর কথায়, পশুপাখির খাদ্য খাঁচার মধ্যেই দেওয়ার কথা। পশুখাদ্য চুরির ধরনটাও অদ্ভুত। বরাদ্দকৃত খাদ্যের অর্ধেক পরিমাণ দেওয়া হয় খাঁচায়, বাকিটা রেখে দেওয়া হয় ‘এনক্লোজারের’ পাশের গর্তে। ‘বাসি’ খাবারটা দ্বিতীয় দিনে খাঁচায় দিয়ে সে দিনের বরাদ্দকৃত খাদ্যটা চালান করে দেওয়া হচ্ছে বাইরে। বেশি চুরি হচ্ছে মাছ, মাংস ও শস্য দানা। চিড়িয়াখানায় দর্শকের সংখ্যা বেশি হলে সাময়িক ভাবে এ কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ওই কর্মীরও অভিযোগ, ‘‘পশুপাখির খাদ্য সরবরাহকারীদের একাংশের সঙ্গে চিড়িয়াখানার কিছু কর্মীর অশুভ আঁতাঁত গড়ে উঠেছে।’’
সিপাহিজলা চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অজিত ভৌমিক বলেন, কিছু কিছু খাঁচার পাশে বড় বড় গর্ত পাওয়া গিয়েছে। খাঁচা পরিষ্কার করার পর বন্যপ্রাণীর বর্জ্য পদার্থ সেগুলিতে সাময়িক ভাবে রাখা থাকে। সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার রাখার অভাবে কোনও কোনও সময় দুর্গন্ধও বেরোয়। পরিবেশ দূষিত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কিন্তু পশুপাখির বরাদ্দকৃত খাদ্যের কিছুটা পরিমাণ খাঁচার পাশের গর্ততে রেখে পরে তা ব্যবহার করা হচ্ছে, টাটকা খাবার পাচার হচ্ছে, এই রকম অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বন্যপ্রাণীদের অভুক্ত রাখার ফলে তারা অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে এমন অভিযোগ অজিতবাবু উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ভারতের যে কোনও চিড়িয়াখানার পশুপাখি বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সিপাহিজলার বন্যপ্রাণীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তা করাতে চান তা হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’ সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায় রয়েছে পাঁচশোরও বেশি পশুপাখি। তাদের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে খরচ হয় ৭-৮ লাখ টাকা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.